শিরোনাম
শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইউরোপে আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘উদ্বিগ্ন নন’ পুতিন

ডি-ডে’র ৭৫ বছর

ইউরোপে আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘উদ্বিগ্ন নন’ পুতিন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর নরম্যান্ডি উপকূল জয়ের দিন ডি-ডে’র ৭৫ বছর পূর্তিতে অন্য বিশ্বনেতাদের মতো ইউরোপে আমন্ত্রণ না পাওয়ার ঘটনাকে ‘সমস্যা’ হিসেবে দেখছেন না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ডি-ডে’র ৭০তম বার্ষিকীতে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের নেতারা থাকলেও রাশিয়ার কোনো শীর্ষ নেতাকে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সংখ্যার বিচারে এটি ছিল যে  কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদান ও ত্যাগের মূল্যায়ন করতে চায় না বলেও অভিযোগ রাশিয়ার। ডি-ডে ‘মোটেও যুদ্ধের পট পরিবর্তনের দিন ছিল না’, চলতি বছর এমন দাবিও করেছে পুতিনের সরকার।  ইউরোপে আমন্ত্রণ না পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নিজের দেশেই তার অনেক কাজ পড়ে আছে। ডি-ডে’র ওই অভিযানেই ‘যুদ্ধের ভবিষ্যৎ’ ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলে বৃহস্পতিবার নরম্যান্ডিতে নিহত যোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এ ভাষ্যের সঙ্গে দ্বিমত  পোষণ করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, স্টালিনগ্রাদ ও কুর্সকে সোভিয়েত রেড আর্মির হাতে জার্মান বাহিনীর পরাজয়ের পরই কেবল নরম্যান্ডি জয় অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণে নরম্যান্ডি অভিযান মোটেও এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না,’ বলেছেন রুশ সরকারের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভ। পশ্চিমা দেশগুলো  কেন তাদের ফ্রন্টকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাশিয়ার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কমোসোমোস্কায়া প্রাভদা। মিত্রবাহিনী যেন পশ্চিম ইউরোপের দ্বিতীয় যুদ্ধক্ষেত্র খুলতে পাওে সে অপেক্ষায় সোভিয়েত বাহিনীর লাখ লাখ সৈন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে তারা। রুশদের দাবি ‘১৯৪১ সাল থেকে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সোভিয়েত সেনারা প্রাণ না দিয়ে গেলে নরম্যান্ডিতে অবতরণের ঘটনার দেখাই পাওয়া যেত না।

ডি-ডে’র আগের তিন বছর মস্কো ইউরোপের পূর্ব অংশে জার্মান বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করছিল।

সর্বশেষ খবর