সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

তৃণমূলের একজন ও বিজেপির দুইজন নিহত

কলকাতা প্রতিনিধি

লোকসভা নির্বাচনের পর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজ্যের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার সন্দেশখালীর ন্যাজাট থানার অন্তর্গত ভাঙিপাড়া গ্রাম। শনিবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। দুই দলের কর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পুলিশের দাবি নিহতের সংখ্যা ৩। নিহতদের মধ্যে একজন তৃণমূল কর্মী। বাকি দুজন বিজেপির। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, দলীয় পতাকা খোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙিপাড়া এলাকা। বিকাল গড়িয়ে রাতে তা চরম আকার ধারণ করে। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বোমাবাজি, গুলি। তৃণমূল কর্মী কাইয়ুম আলীকে প্রথমে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কর্মীরা বদলা হিসেবে বিজেপির দুই কর্মী সুকান্ত ম ল ও প্রদীপ ম লকে তাড়া করে একটি মাছের ভেড়িতে নিয়ে যায়। পরে তারা সেখানে ওই দুই বিজেপি কর্মীকে হত্যা করে। তৃণমূলশাসিত রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়ের দাবি, তাদের আরও ছয়জন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। বিজেপি পাল্টা দাবি করে বলেছে, ওই ঘটনার পর থেকে তাদেরও কয়েকজনের খোঁজ মিলছে না। গতকাল সকাল থেকে গোটা ন্যাজাট এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। এ ঘটনা নিয়ে শনিবারই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও গতকাল দুপুর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে বিজেপি নেতা মুকুল রায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন। এদিকে খুন-পাল্টা খুন নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের অভিযোগ, ‘সারা বাংলা জুড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশান্তি করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।’ অন্যদিকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘যারা গিয়ে উসকানি, প্ররোচনা দিচ্ছে, তারাই খুন-রক্তপাত ঘটাচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর