সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বেইজিং : চীন

বিশ্বের দুই প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুরু হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ। যা প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছে। বিষয়টিকে কোনোভাবেই সহজভাবে নিচ্ছে না চীন। তাইতো দেশটির প্রভাবশালী সাময়িকী কুয়োশি বলেছে, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনের জনগণের আকাক্সক্ষাকে অবজ্ঞা করেছে। গতকাল চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় ওই সাময়িকী কুয়োশি বলেছে, দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং। কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শিক এই সাময়িকীতে প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ নিরসনের আলোচনায় বেইজিংয়ের মূলনীতিতে ছাড় দেবে না চীন। রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস এর প্রধান সম্পাদক হু শিজিন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা সমাজের নতুন সন্নিবেশ প্রতিফলিত হয়েছে। চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

 ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনায় বসলেও কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় তা। এ মাসের শেষ নাগাদ জাপানে জি-২০ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই বিরোধ নিরসনে আলোচনায় বসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল কুয়োশি-তে প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিরোধের তীব্রতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের হুমকি বা চাপের মুখে চীন ভীত হবে না। চীনের সামনে যেমন কোনো বিকল্প নেই তেমনি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায়ও নেই, কেবল শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি বা শক্তির চীনা জনগণের এই ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞাকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না’।

সর্বশেষ খবর