ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক হামলা করে তাহলে সেটা ‘মারাত্মক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে। ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরমে তখন এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করল ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। সম্প্রতি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এবং দর্শকদের উপস্থিতিতে এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সবচেয়ে কম যে পরিণতি বয়ে আনবে তা হচ্ছে মারাত্মক বিপর্যয়। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যদি এমন হামলা হয় তাহলে এর ফলে ব্যাপকভাবে যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে তার পরিণতি কল্পনা করাও সম্ভব নয়। সংঘাত একবার ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে আনাও খুব কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে তেহরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আর দুবার তেলের ট্যাংকারে হামলা ও গত বৃহস্পতিবার ইরান যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর ড্রোন ভূপাতিত করার পর সেই উত্তেজনা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেছে। মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার জবাবে ইরানে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য তিনি মত পাল্টে ফেলেন। মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরানও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র হামলা করে তাহলে সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আছে তেহরান।

ইরানে হামলা করিনি : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে হামলা চালালে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল বলে তিনি সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন। এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধ চান না, তবে সংঘাত বেঁধে গেলে ইরান ধ্বংস হয়ে যাবে। ২০ জুন নিজেদের আকাশসীমায় ‘আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক’ নামে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানের সেনাবাহিনী। ২১ জুন মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় ইরানে সামরিক অভিযান পরিচালনার প্রস্তাব অনুমোদনের শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প। এএফপি