বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাখাইনে আবারও নির্যাতনের আশঙ্কা জাতিসংঘের

রাখাইনে আবারও নির্যাতনের আশঙ্কা জাতিসংঘের

গ্রামে গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছে বার্মিস আর্মি

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন ও চীন রাজ্যে আবারও জাতিগত সহিংসতা চালাতে পারে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। এ আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। গত ২১ জুন থেকে দেশটির এ দুই অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ফাঁকে এ দুই রাজ্যে মানবাধিকার লড়ঘনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার। সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় এ এলাকাগুলোতে গত কিছু দিনে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের বিশেষ মুখপাত্র ইয়াংহি লি বলেন, ‘সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা জানতে পেরেছি, এ এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করছে যেখানে বড় মাত্রায় মানবাধিকার লড়ঘনের সম্ভাবনা রয়েছে।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার সং¯'ায় জমা দেওয়া প্রতিবেদনে লি বলেন, স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, গত ১৯ জুন মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের মিনব্যে শহরে হেলিকপ্টারযোগে হামলা চালিয়েছে। এর পর দিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের একটি নৌযানে আগুন ধরিয়ে দিলে দুই নৌসেনা নিহত হয়।

বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ : দেশটিতে নিয়োজিত টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি টেলিনর গ্রুপ জানায়, মিয়ানমারের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে রাখাইন ও চীন অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে এ অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব সো থাইন জানান, মিয়ানমারের টেলিযোগাযোগ আইন মেনেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের এ অঞ্চলটিতে প্রায় ১০ লাখ অধিবাসী রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বিশাল এ জনগোষ্ঠী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটির এ অঞ্চলে। ‘আরাকান আর্মি’ নামে বৌদ্ধদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এ অঞ্চলের ‘স্বায়ত্তশাসনের’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের মতে সেনাবাহিনীর এ আচরণ ছিল ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’।

সর্বশেষ খবর