মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হংকং

সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হংকং

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্পে ব্যবহার করা হয়

কয়েক দিন বিরতির পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হংকং। বিতর্কিত প্রত্যর্পণ আইন বাতিলের দাবিতে গেল মাসে আন্দো লনে স্থবির হয়ে যায় হংকং। গতকাল ছিল চীনের কাছে হংকং হস্তান্তরবার্ষিকী। তবে এই দিবসে গতকাল হাজারো মানুষ সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামে। তারা এক পর্যায়ে হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকশ তরুণের একটি দল আইনসভা ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীরা আইনসভা ভবনটির কাচ ভেঙে অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়ে এবং ¯েপ্র-পেইন্ট দিয়ে কক্ষের দেয়ালে নানারকম বার্তা লিখে দেয়।
কেন্দ্রীয় অধিবেশন কক্ষের ভিতরের দেয়ালে হংকংয়ের প্রতীকের ওপর একজন বিক্ষোভকারী কালো রং ছিটিয়ে দেয়। আরেকজন পুরনো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের ইউনিয়ন জ্যাক-আঁকা পতাকা তুলে ধরে।
পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তাদের ভাষায় ‘যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এরপর আইনসভা ভবন ঘিরে থাকা বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
পুলিশ এখন ভবনটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও কিছুক্ষণ আগের খবরে বলা হয়। এর আগে ওই বিক্ষোভকারীরা আইনসভা ভবনটি কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে রেখেছিল।
লাখ লাখ বিক্ষোভকারী লেজিসলেটিভ কাউন্সিল বা লেজকো ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করার সময় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
সকাল থেকেই রাজপথে অবস্থান নেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। তারা বিভিন্ন সরকারি দফতরেও ভাঙচুর করে। গণতন্ত্রপন্থি পরিষদ সদস্যরাও আন্দোলনকারীদের থামাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতি বছরই এই দিনে কর্মকর্তারা সরকারি ভবনে উৎসব করেন আর রাজপথে অবস্থান নেন গণতন্ত্রকামী মানুষ। হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। গত মাসে চীনপন্থি এক বিল নিয়েও উত্তাল হয়ে উঠেছিল হংকং। আর তার রেশ এখনো চলছে। তাই তো এবার আঁটোসাঁটো করে হস্তান্তরবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
সাধারণত এই দিনে শহরের হারবার ফ্রন্টে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
তবে এবার সেই অনুষ্ঠান দফতরের ভিতরে আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানান সরকারি কর্মকর্তারা। চীনের সরকারি ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে ক্যারি ল্যাম বলেন, চীনের অর্থনৈতিক শক্তিমত্তার কারণে উপকৃত হচ্ছে হংকং। তিনি  দেশটির উন্নতি ও হংকংয়ের স্থিতিশীলতা কামনা করেন।
গার্ডিয়ান জানায়, হংকংয়ের চীনপন্থি নেতাদের সহায়তায় চীন  দেশটির স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারে আশঙ্কাতেই আসলে এই আন্দোলন এমন রূপ নিয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর