আগামীকালের পর থেকে ইরান আর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি মানবে না। পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই ঘোষণা দিয়েছেন। রুহানি জানান, চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কোনো সুনির্দিষ্ট পথ বের করতে না পারলে ইরান নিজের ইচ্ছামতো ও প্রয়োজনমতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ইরানকে ৩ দশমিক ৬৭ মাত্রার ৩০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ছয়টি দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি থেকে গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়। চুক্তিতে ত্রুটি আছে দাবি করে ট্রাম্প ইরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে, যা ইরানের অর্থনীতিকে চাপে ফেলে দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান জানায়, চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী বাকি দেশগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অবরোধের ক্ষতিপূরণের সঠিক পথ দেখাতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশটি পুনরায় উন্নতমানের ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করবে।
আগামীকাল ইরানের বেঁধে দেওয়া ৬০ দিন শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে রুহানি জানান, তার দেশ চুক্তির শর্ত শতভাগ মেনে চলবে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো চুক্তিটি শতভাগ মেনে চলে। ইরানের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, চুক্তি ভঙ্গ করে ইরান খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারবে না। চুক্তিটিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হলে তা শুধুমাত্র চলমান অস্থিরতাকেই বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।