রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

জামিন পেলেন ইরানের চার ক্রু

ইরানি ট্যাংকার গ্রেস ১ এর আটক চার ক্রুকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জিব্রাল্টার পুলিশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায় থাকা সিরিয়ার একটি শোধনাগারের জন্য তেল নিয়ে যাচ্ছে- এমন সন্দেহে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে জিব্রাল্টার উপকূল থেকে ব্রিটিশ রাজকীয় মেরিনের সহায়তায় ওই ট্যাংকার ও এর সব কার্গো জব্দ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে জিব্রাল্টার পুলিশ তেলবাহী ওই সুপার ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেন ও চিফ অফিসারকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার দিনের প্রথমভাগে তারা ট্যাংকারটির বাকি দুই সেকেন্ড মেটকে আটকের কথা জানালেও কয়েক ঘণ্টা পর ৪ জনকেই ছেড়ে দেয়। ক্রুদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলে জিব্রাল্টার পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চার ক্রুকে কোনো শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। ইরানি এ ট্যাংকার জব্দের ঘটনায় তেহরান কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। শিগগিরই গ্রেস ১-কে ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে তারা। এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পারস্য উপসাগরে তাদের একটি তেলবাহী ট্যাংকারকে তিনটি ইরানি নৌকা ‘হয়রানি’ করেছে বলে অভিযোগ করে।

 যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস মন্ট্রোসের তাড়া খেয়ে পরে ওই ইরানি বোটগুলো পিছু হটে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করে দেশটির ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ তৈরির চেষ্টায় তাদের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ওয়াশিংটনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র রাষ্ট্রগুলোর উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। এসব নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৫ সালের চুক্তিতে বেঁধে দেওয়া পারমাণবিক তৎপরতার সীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে ইরান। মে ও জুনে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জলসীমায় বেশ কয়েকটি তেল ট্যাঙ্কারে হামলা হয়। এসব হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান তা অস্বীকার করে আসছে। ইরান গত মাসে হরমুজ প্রণালীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিতও করে। এর জবাবে ইরানে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত থেকে সরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট  ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সর্বশেষ হরমুজ প্রণালি ও ইয়েমেন উপকূলের বাব আল মানডাব প্রণালিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সামরিক জোট গঠনের উদ্যোগ নেয় ওয়াশিংটন।

সর্বশেষ খবর