মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার

সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার

পেশা যার আইটি চাকরি, তার টেনিসে বা ফ্যাশনে, এমনকি কবিতা বা কার্টুনে আগ্রহ থাকা কোনো চিত্তাকর্ষক ঘটনা নয়। এর মধ্যে কারও যদি আগ্রহ হয় সিন্ধুলিপিতে, তাকে নিয়ে কিছুটা অতিরিক্ত কৌতূহল জন্মাতে পারে। কিন্তু সেই আগ্রহকে একেবারে পেশাদারি স্তরে নিয়ে যাওয়া এবং তা নিয়ে অনুসন্ধিৎসু অনুধাবন ও শেষাবধি স্বীকৃতি এই প্রায় অনতিক্রম্য পথটুকু হেঁটে ফেলেছেন বাঙালি মেয়ে বহতা। কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পুরো নাম বহতা অংশুমালী মুখোপাধ্যায়। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের জন্য প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘প্যালগ্রেভ কমিউনিকেশন্সে’ চলতি মাসে সিন্ধুলিপির পাঠোদ্ধার নিয়ে বহতার লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধটির শিরোনাম ‘ইন্টারোগেটিং ইন্দাস ইন্সক্রিপশনস টু আরেইভেল দেয়ার মেকানিজম অব মিনিং কনভেয়েন্স’। তবে তার প্রথম কাজ ঠিক পাঠোদ্ধার নয় বরং পাঠোদ্ধারের প্রকৃতি নির্ধারণ বলে জানালেন বহতা। তার কথায়, ‘সিন্ধুলিপির অনেক রকমের পাঠ প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগই বিজ্ঞানের ভাষায় ফলসিফায়েবল নয়।’ বহতা বলেন, নেচার ব্র্যান্ডের পত্রিকা প্যালগ্রেভ কমিউনিকেশন্সে প্রকাশিত তার এই ব্লাইন্ড রিভিউড পেপার রিভিউয়ারদের কাছ থেকে এ যাবৎকালের মধ্যে অন্যতম সেরা কাজ বলে স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বামী বিজ্ঞানী হওয়ার সুবাদে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ গণিতবিদ এবং পদার্থবিদ রণজয় অধিকারী তাকে সাহায্য করেছেন বলেও জানান বহতা। স্বামীর সূত্রেই একবার বহতাদের বাড়িতে আসেন অধ্যাপক রণজয় অধিকারী। তার অনুপ্রেরণা মূলত তাকে সাহায্য করেছে। 

মূল গবেষণাটি সম্পন্ন করেন ২০১৬ সালে। তিন বছর পর তার সেই গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হলো। দ্বিতীয় গবেষণাপত্র নিয়ে রিভিউ চলছে বলে জানিয়েছেন এই গবেষক। সিন্ধুলিপিকে প্রধানত শব্দচিত্রের মাধ্যমে লিখিত একটি লিপি বলে মনে করেন বহতা। গবেষণাপত্রে এই দাবির সপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর