মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ট্যাংকার নিয়ে ব্রিটেন ইরান উত্তেজনা তুঙ্গে

পারস্য উপসাগরে যুক্তরাজ্য ও ইরান পরস্পরের তেল ট্যাংকার আটক করা নিয়ে পরিস্থিতি উত্ত্যপ্ত হয়ে উঠছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে জিব্রাল্টার প্রণালিতে একটি ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করে যুক্তরাজ্যের রাজকীয় জাহাজ। এরপর গত শুক্রবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি থেকে ব্রিটিশ ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরোকে জব্দ করে নিজেদের বন্দর আব্বাসে নিয়ে যায় ইরানের রেভোলুশনারি গার্ড। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ঘটনাগুলোর কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখছে ব্রিটেন। সমস্যাটি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকালই ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার দফতরের ব্রিফিং রুমে ইমার্জেন্সি রেসপন্স কমিটির এক বৈঠক হওয়ার কথা। যেখানে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর সম্ভাব্য সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় লন্ডনের নিতে পারার মতো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ তেমন একটা নেই। এদিকে ব্রিটিশ সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোবিয়াস এলউড বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে চলতি জাহাজ ইস্যু নিয়ে একটি সমাধান বের করা, ওই জলপথে অন্য ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ যেন নিরাপদে চলতে পারে তা নিশ্চিত করা, এরপর বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দৃষ্টি দেওয়া।’

সৌদির হুঁশিয়ারি বার্তা : ইরানের ব্রিটিশ ট্যাংকার আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অসম্মান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। একইসঙ্গে অবিলম্বে ইরানকে ব্রিটিশ ট্যাংকার ছেড়ে দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিয়াদ। দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর বলেন, ইরান যা করেছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইরানকে এখনই উচিত শিক্ষা দিতে হবে। পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রিটেনের সঙ্গেও সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে ইরানের। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে চলছে বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি। তারইমধ্যে ব্রিটেনের পক্ষ নিয়ে ইরানকে এমন হুঁশিয়ারি বার্তা দিল সৌদি আরব।

সর্বশেষ খবর