বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

হংকং বিমানবন্দর অচল

হংকংয়ে দিনে দিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত হংকং বিমানবন্দরে গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা ভ্রমণকারীদের ফ্লাইটে উঠতে বাধা দেয়। ফলে মঙ্গলবার বিমানবন্দরটির কর্তৃপক্ষ কয়েক শ বিমানসূচি বাতিল করে। তবে গত ভোর রাতে দাঙ্গা পুলিশ চড়াও হয় বিক্ষোভকারীদের ওপর, লাঠিপেটা শুরু করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিক্ষোভকারীদের।

 তার পর কাল ভোররাত থেকে সূচি অনুযায়ী ফ্লাইট চলাচল ফের শুরু হয়, তবে এর পরও কিছু বিমানসূচি বাতিল ও কয়েকটি ফ্লাইটের উড্ডয়নে বিলম্ব হয়। কয়েক দিন ধরে বিমানবন্দরের কার্যক্রমে বিঘ্ন চলার পর কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বিক্ষোভকারীদের প্রবেশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকা ছাড়া বিমানবন্দরের অন্য কোথাও বিক্ষোভ বা প্রতিবাদে যোগ  দেওয়া থেকে লোকজনকে বিরত থাকতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।  

এদিকে বিমানবন্দরে সহিংসতার নিন্দা করে এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হংকং সরকার। চীনের হংকংবিষয়ক দফতর গতকাল বিমানবন্দরে সহিংসতার নিন্দা করে একে ‘প্রায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বলে অভিহিত করেছে।

হংকংয়ের নেতা ক্যারি ল্যাম বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে বলেছিলেন, হংকং ‘বিপজ্জনক একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে’ এবং বিক্ষোভের সময়ের সহিংসতা এটাকে নিচের দিকে নামিয়ে দিচ্ছে, যা থেকে ফেরার পথ নেই। হংকংয়ের আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে বলেছেন, সীমান্তে চীনের সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাঁকে অবহিত করেছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকের শান্ত ও নিরাপদ থাকা উচিত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল বাচলেট বিক্ষোভকারীদের দমনে পুলিশের ভূমিকা তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর