শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

জনসনকে এক মাস সময় মেরকেলের

জনসনকে এক মাস সময় মেরকেলের

আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থা বাতিলের দাবি নিয়ে বার্লিনে গিয়ে হতাশ হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন।  মেরকেল তাকে ৩০ দিনের মধ্যে ব্যাকস্টপের বিকল্প খোঁজার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বরিস জনসন তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য জার্মানিকেই বেছে নিয়েছিলেন। তার নিজের শর্তে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর একমাত্র আশা ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে রদবদলের ক্ষীণ আশ্বাস আদায় করতে পারলেও তার বদলে কঠিন দায়িত্ব নিয়ে লন্ডনে ফিরতে হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়ে জনসনের ঘোর আপত্তির প্রেক্ষাপটে মেরকেল তাকে ৩০ দিনের মধ্যে বিকল্প প্রস্তাব পেশ করার চ্যালেঞ্জ করেছেন। এমন অবস্থায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে সেই ব্যর্থতার দায় ইউরোপের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ল। ব্যাকস্টপের বদলে ‘কিছু একটা সমাধান সূত্র’ উঠে আসবে বলে এতকাল দাবি করে আসছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু তিনি এখনো এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাব পেশ করেননি। গতকাল তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় আদায় করতে পারবেন না, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মেরেকেল ক্ষীণ আশ্বাস দিলেও ম্যাক্রোঁ বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে কোনোরকম আলোচনা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকর হলে সেই দায় সম্পূর্ণ ব্রিটেনকেই নিতে হবে। মেরকল নিজেও ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে রদবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে তিনি এ চুক্তি অনুমোদনের পর ব্যাকস্টপের বদলে আইরিশ সীমান্তে দ্রুত কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের পর দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করার সময় এ প্রশ্নের মীমাংসা খোঁজার কথা ছিল।

সর্বশেষ খবর