পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল আমজান। ২৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আমাজন বনাঞ্চলে চলতি বছরের রেকর্ড অগ্নিকা-কে ‘আন্তর্জাতিক সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এ বিষয়টি জি-৭ সম্মেলনের আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকা উচিত বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে তার এ মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো।
ম্যাক্রোঁ ‘রাজনৈতিক সুবিধা লাভের’ জন্য আমাজনের অগ্নিকা-কে ব্যবহার করছেন বলেও জাইর বোলসোনেরো অভিযোগ করেছেন। তিনি এও বলেন, জি-৭ সম্মেলনে ব্রাজিল অংশগ্রহণ না করায় সেখানে এ অগ্নিকা- নিয়ে আলোচনা ‘ভুল স্থানে উপনিবেশবাদী মানসিকতা’ উন্মোচিত করবে। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইনপে উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যে চলতি বছর ব্রাজিলজুড়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি অগ্নিকান্ডের খবর জানিয়েছে।
এ অগ্নিকান্ডের বেশির ভাগই সংঘটিত হয়েছে আমাজন অঞ্চলে। পরিবেশবাদীরা এ জন্য আমাজন নিয়ে বোলসোনেরো সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন। কট্টর ডানপন্থি এ প্রেসিডেন্ট বন উজাড়ে কাঠুরে ও কৃষকদের উৎসাহিত করছেন বলেও অভিযোগ তাদের।বোলসোনেরো প্রথম দিকে আমাজনের চলতি বছরের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের জন্য এনজিওকে দায়ী করলেও এ দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি। গত বৃহস্পতিবার অবশ্য তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসে ‘কৃষকরাও বনে আগুন দিতে পারে’ এমন মন্তব্যও করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজন বিপুল পরিমাণ কার্বন জমা রেখে বৈশ্বিক উষ্ণতার গতিকে খানিকটা শ্লথ রেখেছে।
আমাজনের অগ্নিকা- এবং পরিস্থিতি নিরসনে ব্রাজিলের বর্তমান সরকারের অবস্থান নিয়ে বিশ্বজুড়েই তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে হতে যাওয়া জি-৭ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আমাজনের স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্বের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।