শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইউরোপ থেকে শূন্য হাতে ফিরলেন জনসন

ব্রেক্সিট ইস্যু

ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত জার্মানি ও ফ্রান্সের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেও ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদলের আশ্বাস আদায় করতে পারলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন। জার্মান চ্যান্সেলর ব্যাকস্টপ ইস্যু সমাধানে এক মাস সময় দিলেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ব্রেক্সিট নিয়ে আর কোনো চুক্তি করতে রাজি হননি। ম্যাক্রোঁ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিয়ে আসছেন। এমনকি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিচ্ছেদের সময়সীমা বাড়ানোরও ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। চূড়ান্ত পর্যায়েও ব্রিটেনকে কোনো ছাড় দিতে চান না তিনি। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার প্যারিসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাক্রোঁ জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের প্রস্তাব মেনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে ব্রিটেনের সঙ্গে আরও এক মাস আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হলেন। তবে ম্যাক্রোঁ একইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে ব্রিটেন কোনো বড় ছাড় পাবে না। বিচ্ছেদ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য আর সময় নেই।

ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর জনসন বলেন, আইরিশ সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এড়াতে সমাধানসূত্র প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি এমন দাবি করে এলেও এখন পর্যন্ত সেই সূত্র বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি। বিচ্ছেদ চুক্তির মাধ্যমেই ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের করতে তিনি বদ্ধপরিকর, বলেন জনসন। তার মতে, বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই কাজে প্রবল উৎসাহ পাচ্ছেন। ম্যাক্রোঁ তাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে কোনো সমাধানসূত্রের ক্ষেত্রে ইইউর একক বাজার ও আইরিশ দ্বীপের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার মেরকেলও আবার জানিয়ে দিয়েছেন, যে ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার আগে নির্ধারিত এক মাসের মধ্যে ব্রিটেনকে আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্য বিকল্প পেশ করতে হবে।

অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতিতে ব্যর্থ হয়ে জনসন লন্ডনে ফিরে ব্যর্থতার দায় ইউরোপীয় নেতাদের ওপর চাপাতে পারবেন না। ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সি নামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুজতবা রহমান তার টুইট বার্তায় লেখেন, ‘তারা বরিসকে বলছেন, তুমি বার বার বলছ, বিকল্প রয়েছে। তোমরা ব্রিটিশরা যা দুই বছরে পারনি, তা পেশ করতে এখন ৩০ দিন সময় পাবে।’

বৃহস্পতিবার প্যারিসের এলিসে প্রাসাদে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার সময় জনসন এক মুহূর্তের জন্য টেবিলের ওপর পা তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তবে নিজের ভুল বুঝে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেন। ফরাসি ভাষায় দক্ষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাক্রোঁকে তার ভাষাতেই বার বার সম্বোধন করে কিছুটা উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।

সর্বশেষ খবর