বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ট্রাম্প-রুহানিকে কি টেবিলে বসাতে পারবেন ম্যাক্রোঁ

ট্রাম্প-রুহানিকে কি টেবিলে বসাতে পারবেন ম্যাক্রোঁ

বর্তমান বিশ্বে এখন উত্তেজনাকর সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইরানকে সর্বোচ্চ তোপের মধ্যে রেখেছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রকে এ জন্য পুরো সমর্থন করছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে এই অবস্থার পরিত্রাণ চান ইউরোপ বিশেষ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অঘোষিত আবির্ভাব সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে  কোনো বোঝাপড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র যে এক টেবিলে বসা উচিত তা বোঝাতে সক্ষম হন। তাই তো সোমবার সম্মেলনের শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে ঐতিহাসিক সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই  বৈঠক হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ চাই, বলেন ট্রাম্প। জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ফ্রান্স। আর দেশটির প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ নেপথ্যে যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিচ্ছেন, সে বিষয়ে প্রথমে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। কিন্তু সম্মেলন চলাকালীন সপ্তাহান্তে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ আচমকা হাজির হওয়ায় সেই উদ্যোগকে ঘিরে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। ইরান অবশ্য ফ্রান্সের এই উদ্যোগ সম্পর্কে প্রকাশ্যে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মঙ্গলবার তিনি মার্কিন প্রশাসনের উদ্দেশে ‘প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে ইরানের ওপর সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো কথা নয়। তার পরেও ম্যাক্রোঁ চেষ্টা চালাচ্ছেন আগামী মাসে যেন দুই নেতা এক টেবিলে বসেন। উল্লেখ্য, আগামী মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রুহানি নিউইয়র্ক সফর করবেন। ট্রাম্পও সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। সে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে, এমন সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

 

সর্বশেষ খবর