শিরোনাম
রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নিলে ভারতের সঙ্গে আলোচনা : পাকিস্তান

৫ আগস্ট ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা

কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নিলে ভারতের সঙ্গে আলোচনা : পাকিস্তান

ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে ঢিল ছুঁড়ছে বিক্ষোভকারীরা -এএফপি

বেশ কিছুদিন ধরে কাশ্মীর নিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে। কাশ্মীরে বিশেষ ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকে দুই দেশের উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। যে কোনো মুহূর্তে বেধে যেতে পারে যুদ্ধ। এ অবস্থায় সংলাপের জন্য ভারতকে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি বলেছে, এসব শর্ত মানলেই কেবল দ্বিপক্ষীয় সংলাপ হতে পারে। তবে আলোচনার আগে অবশ্যই কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নিতে হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব শর্তের কথা বলেছেন। গত ৫ আগস্ট ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে আবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পাকিস্তান ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়েছে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছে তারা। বন্ধ করে দিয়েছে বাণিজ্য সম্পর্ক। দ্য ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে যদি তারা কিছু শর্ত মানে। এর মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের মুক্তি ও তাদের আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিতে হবে’। তিনি বলেন, শর্ত মানলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংলাপ হতে পারে। এমনকি কোনো তৃতীয়পক্ষ এখানে মধ্যস্থতা করলেও আমরা তাকে স্বাগত জানাব। কোরেশি বলেন, সংলাপের জন্য ভারতকে কাশ্মীর থেকে গত চার সপ্তাহ ধরে চলা কারফিউ তুলে নিতে হবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে, কাশ্মীরের সব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান কখনোই সংলাপ থেকে সরে যেতে চায়নি; কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এমন কোনো ইতিবাচক পরিবেশ পাওয়া যায়নি। তারা কাশ্মীরিদের ওপর নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে। কোরেশী বলেন, এই সংকটে তিনটি বিষয়- ভারত, পাকিস্তান ও কাশ্মীর।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে উঠছে কাশ্মীর ইস্যু : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি। একে অনেক বড় ঘটনা বলে উল্লেখ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের উদ্যোগকে গতকাল স্বাগত জানিয়েছেন। পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপের সময় শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যুটি আন্তর্জাতিকভাবে আবারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের জন্য সারা বিশ্বের মানুষ এগিয়ে আসছেন। দ্য ডন।

কাশ্মীরি জনগণের ওপর ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতনের ব্যাপারে সারা বিশ্বে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমেরিকায় বসবাসরত পাকিস্তানি কমিউনিটি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তার প্রশংসা করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশে বসবাসরত পাকিস্তানি জনগণ কাশ্মীর ইস্যুটিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সাব-কমিটি এশিয়ার সভাপতি ব্র্যাড শেরমান ঘোষণা করেন, শিগগিরই এ সাব-কমিটি কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে শুনানি করবে। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাব কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরবে এবং এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে কাশ্মীর ইস্যু তোলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর