শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘মাদার অব পার্লামেন্টস’ আগ্রহের কেন্দ্রে

‘মাদার অব পার্লামেন্টস’ আগ্রহের কেন্দ্রে

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো আইনসভাগুলোর একটি হচ্ছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ‘মাদার অব পার্লামেন্টস’ হিসেবে পরিচিত পার্লামেন্টটি। গত দুই দিনে বিশ্বের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে সেখানকার ঘটনাবলি। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার নিজদলীয় ২০ সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। পার্লামেন্টের কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহী সংসদ সদস্যদের হাতে। এর মধ্যে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানান জনসন। বিরোধী দলের সাড়া না পেয়ে তার আহ্বান প্রত্যাখ্যাত হয়। উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত তর্কবিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। পার্লামেন্টের সব কার্যক্রম নজরে রাখছে বিশ্ববাসী।

মারা যাবেন তবুও ব্রেক্সিট পিছাবেন না জনসন : ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দুই দফা হারের পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পক্ষে স্থির রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট বিলম্ব করতে অনুরোধ করার থেকে বরং খাদে পড়ে মরব।’ ওয়েকফিল্ডের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রস্তুত রয়েছেন দাবি করা হলেও পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এটা প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এখন  তিনি চান আগামী ১৫ অক্টোবর ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তিনি এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি (ব্রেক্সিট) সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এটাই একমাত্র পথ।’

সর্বশেষ খবর