রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জনসনের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ এমপিরা

ব্রেক্সিট নিয়ে চরম সংকটে রয়েছে ব্রিটেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের তারিখ পরিবর্তন না করার ব্যাপারে অটল থাকায় তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা। এ ব্যাপারে বিরোধী দল লেবার পার্টির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের আইন প্রণেতারাও। শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে ব্রেক্সিট বিলম্বে বিরোধী দলের আনা একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। আগামীকাল বিলটিতে অনুমোদনের জন্য রানীর কাছে পাঠানো হবে।

গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া জনসন সাফ জানিয়েছেন, ব্রেক্সিটের জন্য পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবরই বহাল থাকবে।

ওই তারিখের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হলেও ব্রেক্সিটের তারিখ পরিবর্তন হবে না। বৃহস্পতিবার জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিটের তারিখের পরিবর্তনের চেয়ে তিনি নর্দমায় মারা যাওয়া পছন্দ করবেন। বিবিসি জানিয়েছে, আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যে একটি আইনি দল তৈরি করেছেন। তারা প্রয়োজন হলে আইনি বাধ্যকতা আরোপের জন্য জনসনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।

আগাম নির্বাচন ডাকার চেষ্টা আটকাবে বিরোধীরা : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্বিতীয়বারের মতো অক্টোবরের মাঝামাঝিতে আগাম নির্বাচন ডাকার যে চেষ্টা নিতে চলেছেন তা আটকে দিতে একাট্টা হয়েছে বিরোধী দলগুলো। সোমবার পার্লামেন্টে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে যে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে তাতে সরকারের বিপক্ষে ভোট দেওয়া কিংবা ভোটদানে বিরত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস (লিব ডেমস), স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি) এবং প্লয় ক্যামরি (পার্টি অব ওয়েলশ)। লেবার পার্টির এক সদস্য বলেছেন, তারা ‘ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট’ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী জনসনের নির্বাচন ডাকার চেষ্টা সমর্থন করবেন না। ওদিকে এসএনপি’র নেতা আয়ান ব্ল্যাকফোর্ড সঠিক সময় আসলে তখনই নির্বাচনে যাবেন বলে জানান এবং বলেন, যুক্তরাজ্য যাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্যাঁচে না পড়ে সেটি তারা নিশ্চিত করতে চান। ওদিকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বলছে, এ মুহুর্তে ইইউ এর সঙ্গে সমঝোতা করে ব্রেক্সিটের সময় না বাড়ানো পর্যন্ত তারা প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাবে ভোট দেবে না। দলটির সদস্যরা সবাই সোমবার হয় বিপক্ষে ভোট দেবে নয়ত ভোটদানে বিরত থাকবে। তবে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলছেন, দলগুলো এমন অবস্থান নিয়ে বড় ধরনের রাজনৈতিক ভুল করছে। জনসন গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে জোড়া হারের মুখে পড়েন। কোনো চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া ঠেকানোসহ আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবও আটকে দেন এমপি’রা। এরপরই জনসন সরকার আগাম নির্বাচন নিয়ে আরেকদফা ভোটের ঘোষণা দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর