শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্রেক্সিট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইউরোপ!

ব্রেক্সিট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইউরোপ!

হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার বিকল্প পেশ করার ক্ষেত্রে কোনোরকম চাপ মেনে নিতে রাজি নয় বরিস জনসনের সরকার। গতকাল এ নিয়ে আবার দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী সোমবার ব্রেক্সিট ঘিরে বর্তমান অচলাবস্থাকে ‘দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সেই মূল্যায়ন কতটা যথার্থ, সপ্তাহ শেষে আবার টের পাওয়া গেল। চারদিক থেকে প্রবল চাপ সত্ত্বেও ব্রিটিশ সরকার এখনো আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব পেশ করতে নারাজ। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আন্টি রিনে চলতি মাসের শেষের মধ্যে এই মর্মে লিখিত প্রস্তাব পেশ করার সময়সীমা স্থির করে দেওয়া সত্ত্বেও বরিস জনসনের সরকার সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনসন একাই অগ্রগতির দাবি করে আসছেন। অন্যদিকে ইইউর সব নেতাই একবাক্যে জানিয়ে দিচ্ছেন, জটিলতা কাটাতে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি হয়নি। আগামী ১৭ ও ১৮ অক্টোবর ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। উপস্থিত নেতাদের চুক্তিসহ ব্রেক্সিট, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অথবা ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর মধ্যে কোনো একটি পথ বেছে নিতে হবে। কিন্তু ইইউ কর্মকর্তারা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না।

 তার আগে ব্রিটেন কোনো সমাধানসূত্র পেশ না করতে পারলে সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে না। সে ক্ষেত্রে ইইউ শীর্ষ নেতারা শেষ মুহূর্তে সেই প্রস্তাব বিবেচনা করতে পারবেন না। অথচ ব্রিটেন সেই চাপ উপেক্ষা করে সময়সীমার গুরুত্ব স্বীকার করতে চাইছে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন, প্রস্তাব প্রস্তুত হলে তবেই তা পেশ করবে লন্ডন, এ ক্ষেত্রে কোনো কৃত্রিম সময়সীমা মানা হবে না। ব্রাসেলস যখন আরও গঠনমূলক সুরে কথা বলবে, তখনই এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মোট কথা, নিজস্ব দায়িত্ব পালন করার বদলে ব্রিটিশ সরকার ইইউর উদ্দেশে ‘সৃজনশীলতা’ ও ‘নমনীয়তা’ দেখানোর ডাক দিচ্ছে। ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলেও স্পেনে একই মন্তব্য করেন।

ব্রিটেন বুধবার রাতে ইইউ কমিশনের কাছে কিছু গোপন কাগজপত্র জমা দিয়েছে বটে, কিন্তু তার মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নেই। পণ্য চলাচল, শুল্ক ইত্যাদি কিছু বিষয়ে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ইইউ কমিশনের মুখপাত্র বেশি গুরুত্ব না দিলেও সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। এদিকে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট সংসদ মুলতবি রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী সপ্তাহে রায় দেবে বলে জানিয়েছে। রায় সরকারের বিরুদ্ধে গেলে তড়িঘড়ি করে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর