বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বড় ধাক্কা খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রেক্সিট ইস্যু

বড় ধাক্কা খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন চান পার্লামেন্ট স্থগিত। কিন্তু সাধারণ মানুষ তার বিপক্ষে। তাইতো রাজপথে ব্রিটিশ জনগণ -এএফপি

ইউরোপজুড়ে এখন প্রধান আলোচনার বিষয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা বেক্সিট। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ব্রিটেনের দুজন প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিয়েছেন। মাস খানেক আগে ক্ষমতা নিয়েছেন বরিস জনসন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যেনতেনভাবে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে চান। এ ক্ষেত্রে কেউ সমস্যা হয়ে দাঁড়ালে সেটি তিনি বরদাস্ত করতে চান না। এ ক্ষেত্রে তার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা দেশটির পার্লামেন্ট। কারণ দেশটির এমপিরা একটি চুক্তির মাধ্যমে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে চান। এমন কি তারা প্রধানমন্ত্রী জনসনের সিদ্ধান্ত আটতে দিয়েছেন। ফলে তিনি যেভাবেই হোক পার্লামেন্ট স্থগিত করতে চান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল এক আদেশে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ওই সিদ্ধান্ত বাতিল এবং এর কোনো কার্যকারিতা নেই। রায়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ব্রেন্ডা হেল বলেছেন, আদালত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য। তাকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ  দেওয়ার সিদ্ধান্তও বেআইনি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছিলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে করতেই পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। তবে ওইদিনই প্রতিনিধি পরিষদে জনসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বেআইনির রায় যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের ১১ বিচারপতি সর্বসম্মতভাবে ঘোষণা করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা সামনে রেখে পার্লামেন্টের দায়িত্ব পালন বন্ধ করাটা ভুল ছিল। দেশের গণতন্ত্রের মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর এর প্রভাব ভয়াবহ বলেও রায়ে অভিমত দেওয়া হয়েছে। ব্রেন্ডা হেল বলেন, রানীকে পার্লামেন্ট স্থগিতের অনুরোধের সিদ্ধান্ত আইনসম্মত ছিল না। কারণ এর প্রভাব ছিল হতাশাজনক। এর মধ্য দিয়ে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পার্লামেন্টের সাংবিধানিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রদ করা হয়েছে। এখন কী হবে সে সিদ্ধান্তের ভার হাউস অব কমন্স এবং হাউস অব লর্ডসের স্পিকারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে আদালত। আর আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ বলেছেন, আর দেরি না করে পার্লামেন্ট বসবে, জরুরি ভিত্তিতে দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। এই রায়ের পর বরিস জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই।  এর মধ্যে অন্যতম লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।

সর্বশেষ খবর