সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। মসনদে বসার পর থেকেই ব্রেক্সিট বিপাকে পড়ে হালে পানি পাচ্ছেন না তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে উঠছে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ। ফলে তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। জানা গেছে, লন্ডনের মেয়র থাকার সময় আমেরিকার একজন ব্যবসায়ী নারীকে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন জনসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর ছিল, জেনিফার আরকুরি নামের ওই নারী আমেরিকার নাগরিক। তার সঙ্গে জনসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। খবরে বলা হয়, এই মামলায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এর ভিত্তিতে বরিসের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হতে পারে। মেয়র পদের অপব্যবহার করার জন্য বরিসের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। নিজের বন্ধুদের কাছে বরিসের সঙ্গে তার ‘প্রণয়ের সম্পর্কে’র কথা নাকি ফাঁস করেছেন ওই নারী।
এদিকে, এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সদ্য আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাঁচ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করার নির্দেশ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে নৈতিকভাবে জনসনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। পাশাপাশি, কিছুতেই ব্রেক্সিট জট ছাড়তে পড়ছেন না কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান। প্রায় চুক্তিহীনভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চলেছে ব্রিটেন। এহেন পরিস্থিতিতে জনসনের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগে ব্রিটিশ শাসক দলের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।