শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইরাকে সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে নিহত ১১, কারফিউ

ইরাকে সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে নিহত ১১, কারফিউ

ইরাকে টানা তৃতীয় দিনের মতো জনঅসন্তোষ চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় আকারের অভিযান সত্ত্বেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মাহদির বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী বাগদাদসহ অন্যান্য স্থানে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিনে শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই কারফিউ জারির পরই নিহত হয়েছে ১১ জন।

চাকরি বাড়ানো, জনসেবার মানোন্নয়ন আর সীমাহীন দুর্নীতিরোধের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু করেছে ইরাকিরা। বুধবার আন্দোলনকারীদের দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী গুলিবর্ষণ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করলে অন্তত সাত ইরাকি নিহত ও সাতশরও বেশি আহত হন। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে সরকারবিরোধী জোট। গত এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে বাগদাদে সংঘটিত সবচেয়ে বড় জনবিদ্রোহ এটি।

ইরাকের ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটস’ দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে এক নিরাপত্তাকর্মীও রয়েছেন। আর বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে ১৩২ জনকে আটক করা হলেও বেশ কয়েকজনকে  ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। এদিকে দেশজুড়ে এই অস্থিরতার মাঝেই মুখোশধারীদের গুলিতে অ্যাক্টিভিস্ট এবং কার্টুনিস্ট হুসেইন আদেল মাদানি এবং তার স্ত্রী সারা মাদানি নিহত হয়েছেন। তবে তাদের দুই বছর বয়সী কন্যাসন্তান অক্ষত রয়েছে। কোনো পক্ষ এই হত্যাকান্ডে র দায় স্বীকার করেনি।

প্রধানমন্ত্রী মাহদি পরিস্থিতি শান্ত করতে বিক্ষোভকারীদের কোনো দাবি মেনে নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি।

সর্বশেষ খবর