শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিরিয়া অভিযান বাজে পরিকল্পনা : ট্রাম্প

♦ দ্বিতীয় দিনে অভিযান জোরদার
♦ নিহত ১০৯

মধ্যপ্রাচ্যে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় এতদিন অবস্থান ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর। কিন্তু দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখান থেকে তার বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এর একদিন পরই কুর্দি বিরোধী অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস স্প্রিং’। তুরস্ক দাবি করেছে, দ্বিতীয় দিনে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করেছে তুরস্ক। সিরিয়ার ৩০ কিলোমিটার ভিতরে বিমান হামলা করছে তুরস্ক। তুর্কিদের কমপক্ষে ৭০টি স্থাপনায় বোমা ফেলা হয়েছে। অভিযানে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০৯ জন। কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযানের বিষয়ে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তু দখল করেছে। তুর্কি অভিযান শুরুর পর বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। অভিযানের বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি  সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। আর এ অভিযানে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু তুরস্ককে এই দাবি অস্বীকার করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। অপরদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তুরস্ক ও কুর্দিরা কয়েক শতাব্দী ধরে লড়াই করছে। আর কুর্দি যোদ্ধারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমাদের সহায়তা করেনি। তারপরও আমরা কুর্দিদের পছন্দ করি। তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। মূলত জনবিরল এই এলাকায় বসবাস করে আরব বংশোদ্ভূতরা। ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমেরিকা তুরস্কের এ অভিযানকে সমর্থন করে না এবং বিষয়টি তুর্কি প্রেসিডেন্টকে পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে, এই অভিযান একটি বাজে পরিকল্পনা।’  ট্রাম্প আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করার প্রথম দিন থেকে আমি বলে আসছি এই সীমাহীন ও জ্ঞানহীন বিশেষ করে যেখানে আমেরিকার কোনো স্বার্থ নেই সেই যুদ্ধ আমি করতে চাই না। পাঁচ ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম ও পোল্যান্ডের অনুরোধে গতকাল এ অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হওয়ার কথা। কাল কায়রোতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আরব লিগও।

সর্বশেষ খবর