জ্বলছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল। একদিকে লাশ আর লাশ। অন্যদিকে অবকাঠামোতে বোমার আগুন। ধোঁয়ায় কালো হয়ে যাচ্ছে আকাশ। মানুষের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। মূলত দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক বাহিনী ও কুর্দি গেরিলাদের লড়াইয়ের ফলে সীমান্ত শহর তেল আবিয়াদ ও রাস আল আইন সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল এক বিবৃতিতে বৈশ্বিক এ সংস্থাটির অফিস ফর কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, আসছে দিনগুলোতে সিরিয়ার এ ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এলাকার ৪ লাখের মতো বেসামরিক লোকের ত্রাণ ও সুরক্ষা প্রয়োজন হবে বলে তারা ও অন্য ত্রাণ সংস্থা অনুমান করছে। এরই মধ্যে তুর্কি বাহিনী সিরিয়ার রাস আল আইন শহর দখল করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমন অবস্থায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা স্থগিত রাখতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রতি ফোন করে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এদিকে দখল করা এলাকা থেকে শত শত আইএস বন্দী পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। তারা কোথায় গেছে কেউ কিছু বলতে পারছে না। আইএসবিরোধী অভিযানের সময় ওই বন্দীদের আটক করেছিল মার্কিন ও কুর্দি যোদ্ধারা।
শনিবার সকালে তুরস্ক দখল করে নিয়েছে সিরিয়ার রাস আল আইন শহর। সেখানে আবাসিক এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তবে কুর্দিরা তুরস্কের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাস্তুচ্যুত ১৩০০০০ : তুর্কি বাহিনী ও কুর্দি গেরিলাদের লড়াইয়ের ফলে সিরিয় শহর তেল আবিয়াদ ও রাস আল আইন সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিকে আঙ্কারা বলছে, তাদের অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে সিরিয়ার ভিতর একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে তুরস্কে থাকা ৩৬ লাখের মতো সিরীয় শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা।