সিরিয়ায় কুর্দিদের ওপর অভিযানের কারণে তুরস্কের প্রতিরক্ষা, জ্বালানি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এসব তুর্কি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না। তুরস্কের ইস্পাত রপ্তানির ওপর শুল্কের পরিমাণ আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তিবিষয়ক আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘তুর্কি নেতারা বিপজ্জনক ও ধ্বংসাত্মক পথ থেকে সরে না এলে আমি তুরস্কের অর্থনীতি দ্রুত ধ্বংস করে দিতে প্রস্তুত।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি ‘দখলদারি অভিযান বন্ধ, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও কুর্দিদের সঙ্গে আলোচনার’ জন্য এরদোগানের প্রতি আহ্বান জানান। তুরস্কের সঙ্গে আলোচনার জন্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তিনি মধ্যপ্রাচ্যে রওনা হবেন বলে জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় তুরস্কের হামলা আর সহ্য করবে না ওয়াশিংটন।’ সম্প্রতি সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত এলাকা থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তারপরই সিরিয়া সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ শুরু করে তুরস্ক। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ভিতর ৩০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত একটি বাফার জোন তৈরি করতে চাইছেন এরদোগান। সে জন্য ওই এলাকা থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের সরাতে চাইছেন তিনি। এরপর সেখানে বর্তমানে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে রাখার ব্যবস্থা করতে চান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরীয় সেনারা মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। এছাড়া দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুত সিরীয় সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন হয়তো দ্রুতই তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
