শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চুক্তি নিয়ে ঘরে ফিরে বাধার মুখে জনসন

চুক্তি নিয়ে ঘরে ফিরে বাধার মুখে জনসন

ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন

ইইউ সম্মেলনে নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতি সমর্থন আদায় করতে পারলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন পার্লামেন্টে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে পারেন। আজ পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশনে বেক্সিট চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। অধিবেশনে বিরোধীদের সঙ্গে আপস সম্ভব না হলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দু-দুটি সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রথমে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ব্রেক্সিট নিয়ে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তারপর ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা একযোগে সেই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানান। দুই পক্ষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রও অনুমোদন করেন তারা। জনসন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অংশ না নিয়ে দেশে ফিরে সংসদে তার ‘নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে সেই কাজ যে মোটেই সহজ হবে না, বৃহস্পতিবারই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এই ‘নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির রূপরেখা স্পষ্ট হলেও এর অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহল। নতুন চুক্তি অনুযায়ী আইরিশ সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ পড়লেও তার বদলে অত্যন্ত জটিল এক ব্যবস্থা চালু হবে। বরিস জনসনের দাবি মেনে উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশকে যুক্তরাজ্যের শুল্ক কাঠামোয় রাখা হলেও সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু নিয়মকানুন বজায় থাকবে। বিশেষ করে সেখানে পণ্যের আসা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যে পণ্য শেষ পর্যন্ত ইইউতে প্রবেশ করবে, তার ওপর শুল্ক বসানো হবে। ভ্যাটসংক্রান্ত জটিলতাও দূর করা হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের আঞ্চলিক পার্লামেন্ট প্রতি চার বছর অন্তর এই নিয়ম চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল থেকে শুরু হয়ে আজ বরিস জনসনকে নিজের টোরি দল, জোটসঙ্গী উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডিইউপি দল এবং সংসদে বিরোধী পক্ষের কাছ থেকে এই চুক্তির প্রতি সমর্থনের চেষ্টা চালাতে হবে। তিনি এখনো ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে শনিবারই সংসদে এই চুক্তি অনুমোদন করাতে চান তিনি। বিবিসি জানায়, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী জনসন তার চুক্তিতে এমপিদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে ‘বেশ আত্মবিশ্বাসী’। যদিও গত জুলাইয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে ‘চুক্তিহীন বেক্সিট’ করার কথাই জোর দিয়ে বলেছেন। চুক্তিহীন বেক্সিট হলে তা উভয় পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাই জনসনের ওই পথে হাঁটা আটকাতে ব্রিটিশ এমপিরা নতুন একটি আইন পাস করেছে।

সর্বশেষ খবর