রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করতে পারবেন জনসন?

ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করতে পারবেন জনসন?

ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) চুক্তি নিয়ে অস্থির ব্রিটেনের রাজনীতি। সমাধান কি সহসায় হচ্ছে? ব্রিটেনের পার্লামেন্টে কি গৃহীত হবে নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি? সেটি স্পষ্ট হওয়ার কথা ছিল গতকাল। নতুন চুক্তির খসড়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ‘হাউজ অব কমন্সে’। হয় ভোটাভুটি। অবশ্য, বিতর্কের আগেই চুক্তি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিরোধীরা আর সমর্থন আদায়ে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের দিনক্ষণ ঠিক করা। সেটি যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে টানাপড়েন। এ অবস্থায় গতকাল ‘হাউজ অব কমন্সে’ নতুন খসড়া চুক্তি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ৩৭ বছর পর, আবারও  সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বসে পার্লামেন্ট অধিবেশন। গত সপ্তাহেই নতুন চুক্তির ব্যাপারে ইইউর সবুজ সংকেত পান জনসন। এতে আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায়ে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার আশা, বিরোধী দলের কিছু ভোট টেনে নেবেন চুক্তির পক্ষে। বলেছেন, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে নিজস্ব স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে যুক্তরাজ্য। এর ফলে আইরিশ সীমান্ত, অর্থ, বাণিজ্য নীতিমালা, মুক্তবাজার অর্থনীতিসহ নিজেদের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগুলো আমরাই নিব। গ্রেট ব্রিটেনের ওপর ছড়ি ঘোরানোর কেউ থাকবে না। এমপিদের প্রতি অনুরোধ, ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট কার্যকরে সমর্থন দিন। তাতেই সবারই মঙ্গল। অবশ্য, চুক্তি রুখে দিতে বদ্ধপরিকর প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি, আইরিশ রাজনৈতিক দল-ডিইউপি, স্কটিশ দল-এসএনপিসহ অন্যরা। ডিইউপির মুখপাত্র স্যামি উইলসনের কথা, নর্দান আয়ারল্যান্ডের জন্য এই চুক্তি বিষাক্ত। প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতির কিছুই বাস্তবায়ন করছেন না। তার ওপর, বেলফেস্ট চুক্তি অনুযায়ী জোটের সঙ্গে থাকার বা বের হওয়ার সুযোগও বন্ধ। তাহলে কেন চুক্তির পক্ষে আমরা ভোট দিব? স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেন, এসএনপির এমপিরা চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেবেন। কারণ, এটা তেরেসা মের প্রস্তাবনার থেকেও বাজে। এর মাধ্যমে স্কটিশদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার তোয়াক্কা না করেই ইইউর বাজার ব্যবস্থা থেকে আমাদের ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। ব্রেক্সিটের কোনো পরিবেশ নেই যুক্তরাজ্যে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে করা আগের চুক্তিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেতে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন জনসনের পূর্বসূরি তেরেসা মে। সেবার কনজারভেটিভ দলের যেসব এমপি মের বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের অনেকেই এবার জনসনকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর