শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্রেক্সিটের গিঁট খুলতে পারছেন না জনসন প্রস্তুতি আগাম নির্বাচনের

ব্রেক্সিটের গিঁট খুলতে পারছেন না জনসন প্রস্তুতি আগাম নির্বাচনের

অনেকটা আহলাদ করে মাসতিনেক আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বরিস জনসন। মূলত ব্রেক্সিট সমস্যার গেরো না খোলার বদৌলতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। নির্বাচিত হয়েই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যেভাবেই হোক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তিনি ব্রেক্সিট কার্যকর করবেন। কিন্তু ক্ষমতা হাতে পেয়ে তিনি বুঝলেন বিষয়টি এত সহজ নয়। ব্রেক্সিটের গিঁটের মধ্যে তিনি আটকা পড়েছেন। কিছুতেই সেই গিঁট খুলতে পারছেন না। ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ার ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরেই আগাম নির্বাচন চাইছেন। অপরদিকে ইইউ ব্রিটেনের আবেদন মেনে ব্রেক্সিটে বিলম্ব মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতদিন তিনি বলছিলেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু এখন তিনি বাধ্য হয়ে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছেন দিনকয়েক আগে। সেটি বিবেচনা করতে আরও সময় নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই আবেদন যাতে নাকচ হয়ে যায়, জনসন নিজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘমেয়াদি বিলম্বের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি কোনো জরুরি কারণ উল্লেখ করেননি। ফলে ব্রিটেনে প্রক্রিয়াগত জটিলতার খাতিরে ইইউ বড়জোর মাত্র কয়েক সপ্তাহের বিলম্ব মেনে নেবে, এমনটাই আশা করছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের ওপর ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সব প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে জনসনের আশঙ্কা, তিন মাস অথবা আরও লম্বা বিলম্ব ঘটলে বিরোধীরা দ্বিতীয় গণভোট বা আগাম নির্বাচন ত্বরান্বিত করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঘটনাপ্রবাহের রাশ তার হাতছাড়া হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে জনসন নিজেই আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ইইউ ব্রেক্সিটের সময়সীমা ৩ মাস পিছিয়ে দিলে খ্রিস্টমাসের আগেই নির্বাচন চান তিনি। পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব অনুমোদন করাতে হলে বিরোধী লেবার পার্টির সমর্থনেরও প্রয়োজন হবে। চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা সম্পূর্ণ দূর হলেই বিরোধী দল আগাম নির্বাচনের পথ সুগম করে দেবে বলে জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর