সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক, নিহত আরও ৬৩

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক, নিহত আরও ৬৩

নিরাপত্তাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান ও ধরপাকড় উপেক্ষা করে হাজার হাজার ইরাকি দেশটির রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রীয় তাহরির স্কয়ারে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভের শুরু থেকেই নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে রাবার বুলেট, গুলিবর্ষণ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটালেও বিক্ষোভরত জনতা রাজপথ ছেড়ে যায়নি। গত কয়েকদিনের টানা এ বিক্ষোভ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৬৩ জনের প্রাণ গেছে। ইরাকের আধা সরকারি মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের তথ্য বলছে, বিক্ষোভে দ্রুত প্রাণহানির সংখ্যা বাড়লেও রাজধানী বাগদাদে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত অব্যাহত রেখেছে।

ইরাকি পতাকা মাথায় জড়িয়ে একজন বিক্ষোভকারী ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি পুরো সরকারকে টেনে নামানোর জন্য, সরকারকে ছুড়ে ফেলার জন্য।’ তিনি বলেন, আমরা তাদের একজনকেও আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আর সেটা সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ হালবুসি কিংবা প্রধানমন্ত্রী আবদেল মাহদি হোক না কেন। আমরা পুরো শাসনব্যবস্থার শেষ চাই। এদিকে, রাজধানী বাগদাদের গুরুত্বপূর্ণ সব ভবন রক্ষার জন্য গতকাল বাগদাদে দেশটির এলিট কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিসের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, সরকারি ভবন ও স্থাপনায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষবাহিনী। এ সময় টিয়ার গ্যাসের আঘাতে অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির লাগাম টানতে ইরাকের ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে ধীরে ধীরে বিক্ষোভ  শুরু হয়। তবে অক্টোবরের মাঝের দিকে এসে এ বিক্ষোভ ক্রমান্বয়ে  তীব্র আকার ধারণ করায় সরকারি বাহিনী বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে যায়।

সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ, সংঘাত ও সহিংসতাংয় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলমান এ অস্থিরতায় প্রায় দুই বছরের স্থিতিশীল ইরাকে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর