বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সমুদ্রে সমাহিত বাগদাদিও

সমুদ্রে সমাহিত বাগদাদিও

যে পরিণতি ঘটেছিল আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের, সে একই ঘটনা ঘটল আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির ক্ষেত্রেও। বাগদাদির দেহাংশ সমুদ্রেই সমাহিত করল মার্কিন সেনাবাহিনী। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন নেভি সিল। লাদেনকে বধ করার পর তার দেহ কখনই প্রকাশ্যে আনেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বরং জানানো হয়, তা সমুদ্রে সমাহিত করা হয়েছে তাকে। সেই একই পরিণতির কথা বলা হলো একসময় আল-কায়েদা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইরাক ও সিরিয়ায় গড়ে ওঠা ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির ক্ষেত্রেও। লাদেনকে হত্যার পর ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী গোসল করানো হয়। তারপর তার শরীর সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।  সেনাবাহিনীরই এক কর্মকর্তা দোয়া-দরুদ পড়েন। পরে তা আরবিতে অনুবাদ করে পড়েন এক আরবিভাষী ব্যক্তি। প্রায় ৫০ মিনিটের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ সাগরে নামিয়ে দেওয়া হয়। বাগদাদির মৃত্যুর পর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বাগদাদির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে সমাহিত করা হয়েছিল কিনা? এই প্রশ্নের তিনি কোনো ব্যাখ্যামূলক উত্তর না দিয়ে বলেন, আমি এমনটাই আশা করছিলাম। লাদেনকে সমুদ্রে সমাহিত করার পর সারা বিশ্বের ইমামরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা দাবি করেন, লাদেনকে মাটির নিচে সমাহিত না করে ইসলামের নিয়ম ভঙ্গ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাগদাদিকে সমাহিত করার পর এখনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি ইমামরা। মার্কিন সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, বাগদাদির দেহাংশ সমুদ্রে সমাধিস্থ করা হয়েছে। তবে কোথায় তা সমাধিস্থ করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি ওয়াশিংটন। মার্কিন সেনাকর্তা মার্ক মিলি বলেন, ‘বাগদাদির দেহাংশের  শেষকৃত্য উপযুক্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’ মৃত্যুর আগে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের বারিশা গ্রামে আস্তানা গেড়েছিলেন আইএস প্রধান। সেখানেই অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। শেষে সুইসাইড ভেস্ট এর মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটান বাগদাদি। সঙ্গে ছিল তার তিন সন্তানও। ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহাংশ সংগ্রহ করে তার ডিএনএ পরীক্ষাও করে মার্কিন বাহিনী। তাতেই আইএস জঙ্গি প্রধানের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ওয়াশিংটন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর