ভারতের আসাম রাজ্যের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকৃতপক্ষে সেখানকার মুসলিমদের দেশছাড়া করার হাতিয়ার। এমনটাই মন্তব্য করেছে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। শুক্রবার ‘ইস্যু ব্রিফ : ইন্ডিয়া’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে নিজেদের এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতা তদারককারী এ মার্কিন প্রতিষ্ঠান। ইউএসসিআইআরএফ জানিয়েছে, আসামের এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তাদের উদ্বেগ সেখানকার বাঙালি মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে, নাগরিকত্বের জন্য একটি ধর্মীয় অপরিহার্যতা প্রতিষ্ঠা করতে এবং মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত করার উদ্দেশ্যেই এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দিল্লি। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বিশ্লেষক হ্যারিসন আকিনস। এতে বলা হয়, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিম্নমুখী প্রবণতার একটি বড় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িযেছে এ নাগরিকপঞ্জি। ২০১৯ সালের আগস্টে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর ভারতের বিজেপি সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যা তাদের মুসলিমবিরোধী অবস্থানের প্রতিফলন। বিজেপি ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য একটি ধর্মীয় পরীক্ষার ইঙ্গিত দিয়েছে। এতে নাগরিক তালিকায় হিন্দু এবং কিছু ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বেঁচে যাবে। তবে বাদ পড়বে মুসলমানরা।
শুধু এনআরসি নয়, ওই বৈঠকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসা ও বৈষম্য, বিশেষত মুসলিম ও দলিতদের ওপর গোরক্ষকদের তান্ডব, নয়টি রাজ্যে ধর্মান্তরবিরোধী আইনের মতো বিষয়গুলো নিয়েও ভারতকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন অ্যালিস। তার মতে, উল্লিখিত প্রত্যেকটি উদাহরণই ভারতে সংখ্যালঘুদের আইনি রক্ষাকবচের পরিপন্থী। অ্যালিস বলেন, ধর্মাচরণের স্বাধীনতা এবং অরক্ষিতদের রক্ষা করার কথা ভারত সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ‘অরক্ষিত’দের কথা বলতে গিয়েই আসামের নাগরিকদের কথা তোলেন তিনি। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার।
