বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোরআন শরীফ ডাউনলোড করায় উইঘুরদের আটকের নথি ফাঁস

কোরআন শরীফ ডাউনলোড করায় উইঘুরদের আটকের নথি ফাঁস

চীনে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও মানবধিকার লঙ্ঘনের আরও নথি প্রকাশ হয়েছে। চীনের গুচ্ছ সরকারি নথিকে বলা হচ্ছে ‘চায়না কেবলস’। ওই নথি থেকে দিন জানা যায়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশেই শিনজিয়াং প্রদেশের প্রায় ১০ লাখ উইঘুর ও অন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে আটক করে রাখা হয়েছে। ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের একটি সংগঠন এবার জানিয়েছে, কীভাবে মোবাইলের একটি শেয়ারিং অ্যাপ দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে লাগাতার নজরদারি চালানো হচ্ছে উইঘুরদের ওপর।

ওই চীনা অ্যাপ ‘জ্যাপিয়া’ ব্যবহার করে শুধু কুরআন ডাউনলোড বা ধর্মীয় বাণী শেয়ার করার জন্যও বহু উইঘুরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি সাংবাদিকদের। সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই উড়িয়ে এসেছে বেইজিং। কিন্তু সম্প্রতি যে ৪০০ পাতার সরকারি নথি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট উইঘুর-বিরোধী অভিযান নিয়ে শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরেই বিস্তর মতভেদ রয়েছে। সাংবাদিকদের ধারণা, ‘চায়না কেবলস’ ফাঁসের পেছনে কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরের বিরোধী নেতাদের কেউ রয়েছেন। ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি বলছে- চীনের উত্তর-পশ্চিমে উইঘুরদের স্বশাসিত শিনজিয়াং প্রদেশে জিনপিং তার একাধিক সফরে এসে বলেছেন, সন্ত্রাস, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে এবার সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। কাউকে ছাড় নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ওই প্রদেশের এক স্টেশনে জঙ্গি হামলায় ৩১ জনের প্রাণ যায়। এজন্য উইঘুরদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানে নামে বেইজিং।

সাংবাদিক-সংগঠনটির দাবি, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে নানাভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে উইঘুরদের ওপর। যার মধ্যে একটা বড় অস্ত্র ওই জ্যাপিয়া’ শেয়ারিং অ্যাপ। ‘চায়না কেবলস’ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই অ্যাপ দিয়ে কেউ কোনো অডিও, ভিডিও শেয়ার করলেই তাকে চিহ্নিত করে আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে।

তবে মুখে কুলুপ এঁটে আছে ওই অ্যাপ-নির্মাতা সংস্থাটি। ‘চায়না কেবলস’ নিয়ে বেইজিংয়ের বক্তব্য পুরোটাই ভুয়া। শিনজিয়াংয়ে গণআটক শিবির নেই বলেও দাবি সরকারের।

সর্বশেষ খবর