লন্ডনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ‘উপহাসের’ পাত্র হয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে তিনজন মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ‘অসদাচরণের’ ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য ‘প্রবল’ প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে ইমপিচমেন্ট তদন্তকারী প্যানেল। ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে’ প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতাদের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ইউক্রেনের কাছ থেকে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন’। ট্রাম্পকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার লক্ষ্যে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার কারণে কতটা উদ্বিগ্ন, বিদেশ সফরেও তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। লন্ডনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে তিনি অপেক্ষাকৃত ‘সংযত’ ছিলেন, অতীতের মতো বেফাঁস মন্তব্য করে বাকি নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলেননি। তা সত্ত্বেও বিতর্ক ট্রাম্পের পেছন ছাড়েনি। উপস্থিত নেতাদের একান্ত কথোপকথনের একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে রসিকতা করছেন। এমন উপহাসের পাত্র হয়ে ট্রাম্প ট্রুুডোকে ‘দুমুখো’ এবং ম্যাক্রোঁকে ‘ন্যাস্টি’ বা জঘন্য হিসেবে বর্ণনা করেন। নেতাদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলেও সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটোর ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের বছরে তিনি ন্যাটোর ‘গৌরব’ ফেরানোর কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তার পরেও লন্ডনে ইমপিচমেন্ট তদন্তের কালো ছায়া ট্রাম্পকে তাড়া করে বেরিয়েছে। ওয়াশিংটনে সংসদীয় কমিটির এক শুনানির সময় নির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলন আচমকা বাতিল করেন তিনি। ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতাদের দেশাত্মবোধ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এদিকে তার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির বিতর্কিত আচরণ সম্পর্কে তথ্য ফাঁস হওয়ায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। এএফপি, বিবিসি, ডয়েচে ভেলে