শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মঙ্গলের বাতাসে অক্সিজেন বসন্তে বাড়ে শীতে কমে

মঙ্গলের বাতাসে অক্সিজেন বসন্তে বাড়ে শীতে কমে

পৃথিবীর বাইরে এই ব্রহ্মান্ডে এত গ্রহ, নক্ষত্র, তারা। সেখানে কি কোনো রকমের জীবের অস্তিত্ব আছে। তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা খোঁজ পেল লাল গ্রহ অর্থাৎ মঙ্গলে অস্তিত্ব আছে অক্সিজেনের। যা প্রাণের জন্য অন্যতম দরকার। বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্বাভাবিকই প্রশ্ন জাগছে তাহলে মঙ্গল-মুল্লুকে কী এখনো প্রাণকে টিকিয়ে রাখার জ্বালানি জুগিয়ে চলেছে অক্সিজেন? নাসার রোভার ‘কিউরিওসিটি’র পাঠানো তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে লেখা সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ : প্ল্যানেটস’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের খুব পাতলা হয়ে আসা বায়ুম-লে অন্যান্য গ্যাসের সঙ্গে এখনো রয়েছে অক্সিজেন। অক্সিজেন অণু। যা দুটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গড়া। পৃথিবীর মতোই। আর তার পরিমাণটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। ০.১৩ শতাংশ। তবে গবেষকরা বলছেন, মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে সেই অক্সিজেনের পরিমাণটা বিভিন্ন ঋতুতে বাড়া-কমা করছে। যেটা পৃথিবীতে হয় না। আমরা দেখেছি, মঙ্গলে যখন বসন্ত আসে, তখন তার বায়ুমন্ডলে এক লাফে প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায় অক্সিজেনের পরিমাণ। তার পর বছর যত এগোয়, ততই তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এটা কেন হয়, এখনো আমরা তা বুঝে উঠতে পারিনি।’ নাসার রোভার ‘কিউরিওসিটি’ মঙ্গলের মাটিতে চষে বেড়াচ্ছে সাত বছর ধরে। মঙ্গলের তিনটি বছরে বসন্ত থেকে শীত আর গ্রীষ্ম, সবকটি ঋতুতে দেখেছে কিউরিওসিটি। ফলে, অনেকটা সময় ধরেই মঙ্গলের বায়ুমন্ডল জরিপ করার সুযোগ পেয়েছে নাসার পাঠানো রোভার।

সর্বশেষ খবর