শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোট হলো পার্লামেন্টে

জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোট হলো পার্লামেন্টে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোট দেবেন পার্লামেন্ট সদস্যরা (এমপি)। জনসনের চুক্তি অনুসারে, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাবে ব্রিটেন। গতকাল চুক্তিটি নিয়ে ভোট হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ভোটের ফল জানা যায়নি।

জনসনের বিলটির প্রতি এমপিরা সমর্থন দিলে ব্রিটিশ সরকারের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’ সম্প্রসারণের সব পথ। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ইইউ থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে গেলেও দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যসহ নানা ইস্যুতে চুক্তি সম্পন্ন করতে সময় লাগবে। এর আগ পর্যন্ত অমীমাংসিত বিষয়গুলোয় ইইউর নিয়ম মেনে চলতে হবে ব্রিটেনকে। জনসনের প্রস্তাবিত বিল অনুসারে, ২০২০ সালের মধ্যে এসব চুক্তি শেষ করতে হবে। বিরোধীরা বলছেন, জনসনের বিল যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে  দেবে। ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। কিন্তু সরকারের দাবি, তারা যথাসময়ের মধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন করতে পারবে। জনসন বলেন, এটি বিলম্ব ও তিক্ততার অবসান ঘটাবে। দেশকে নিশ্চয়তা দেবে। বিলটির ভোট নিয়ে জনসন বলেন, আমরা জনগণের কাছে করা প্রতিশ্রুতি পূরণ করব ও ক্রিস্টমাসের আগেই ব্রেক্সিট নিয়ে ভোটাভুটি শেষ করব। তিনি বলেন, কয়েক বছরব্যাপী বিলম্ব ও তিক্ততা শেষে পার্লামেন্ট নিশ্চয়তা সরবরাহ করবে। কঠোর পরিশ্রমী ব্যবসায়ী ও জনগণকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ঠিক করার ভিত্তি গড়ে দেবে। গত অক্টোবরেই ইইউর সঙ্গে চুক্তির খসড়ায় সম্মত হন জনসন। কিন্তু তৎকালীন পার্লামেন্ট তার চুক্তির প্রতি সমর্থন না জানানোয় তখন এ নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে চলতি মাসে নির্বাচনে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত হয় জনসন নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন এখন তাদের দখলে। ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিটি   সহজেই পাস হয়ে যাবে। বৃহ¯পতিবার রানীর ভাষণের (কুইন’স স্পিচ) মধ্য দিয়ে জনসন সরকার আগামী বছরের জন্য তাদের অগ্রাধিকারগুলো উপস্থাপন করেছে। এদিন, বিলটি ফের উপস্থাপিত হয়।

 

সর্বশেষ খবর