জাতিগত বৈষম্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধের দাবি নিয়ে এ বছর সারা বিশ্বের লাখো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। ভারত থেকে হংকং বা ইরাক থেকে সুদান, দাবি আদায়ে পুরো সালজুড়েই রাস্তায় গণআন্দোলন চলেছে।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ : বছরের শেষ দিকে এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পুরো ভারতে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। ধর্মীয় বৈষম্যপূর্ণ ওই আইনের বিরুদ্ধে সব ধর্মের লোকজন আন্দোলন করছেন, এক সপ্তাতেই ঝরেছে অন্তত ২৩ প্রাণ।
হংকংয়ের স্থিতিশীলতায় ধাক্কা : চীনের মূলভূখন্ডে বন্দী প্রত্যর্পণ নিয়ে প্রস্তাবিত একটি বিল বাতিলের দাবিতে জুন থেকে হংকংয়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয় তা এখন স্বাধিকার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। গণদাবির মুখে বিলটি বাতিল করা হলেও আন্দোলন থামেনি।
আবারও উত্তপ্ত হচ্ছে ইরাক : দুর্নীতি, বেকারত্ব, সরকারের ওপর ইরানের প্রভাব ইত্যাদি নানা অভিযোগ নিয়ে অক্টোবর থেকে মানুষ সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভ দমনে সরকারের নৃংসতায় এরই মধ্যে ৪৬০ মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
বৈরুতে সংহতির মুষ্টি : লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অক্টোবরে যে আন্দোলন শুরু হয় তা থামাতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দঁাড়ান সাদ হারিরি। কিন্তু পদ থেকে সরে গেলেও হারিরি ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকে যাওয়ায় বিক্ষোভ চলছে।
ইরানে জ্বালানি তেল নিয়ে বিক্ষোভ : ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে নভেম্বর থেকে দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। যার বিরুদ্ধে ২১টি নগরীতে সহিংস বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।
সুদানে ক্ষমতার লড়াই : এপ্রিলে সুদানের ক্ষমতা থেকে ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের পর থেকেই সেনাবাহিনী ও গণতন্ত্রপন্থিদের মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রে যাওয়ার লড়াই চলছে। যাতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
রঙিন বিক্ষোভ : চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ এবং আরও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, অবসর ভাতা এবং শিক্ষাব্যবস্থার দাবিতে দুই মাস আগে চিলিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে বিক্ষোভে এখনো নৃশংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাধীনতার লড়াই : স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বার্সেলোনা বহুদিন ধরেই স্বাধীনতা চাইছে। মাদ্রিদ সরকারের দমনের বিরুদ্ধে কাতালুনিয়ায় বিক্ষোভ তাই নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।