নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। ওই আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রায় প্রতিদিনই রাজপথে নামছেন। এ অবস্থায় কলকাতা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোর্ট ট্রাস্টের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ১০ কিংবা ১১ তারিখ সফরে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে এখনো রাজ্য বিজেপির তরফে নিশ্চিত করে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, ওই সময়ে মোদি কলকাতায় এসে একদিন থাকবেন। সে সময় তাকে নিয়ে রাজনৈতিক সভার পরিকল্পনা করছেন রাজ্যস্তরের নেতারা। আর পোর্ট ট্রাস্টের কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তার সফর সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পেতে। গেল বছরের শেষদিকেই সংসদে পাস হয়ে রাষ্ট্রপতির সই নিয়ে আইনে পরিণত হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। আর সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়লেও, পথ দেখিয়েছে বাংলাই এবং এই মুহূর্তে সি এ এ বিরোধী আন্দোলনের সুর সবচেয়ে চড়া এ রাজ্যেই। এই পরিস্থিতিতে মোদির কলকাতা সফর অন্য মাত্রা নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের অনেকে। তার এই সফর হতে পারে ১০ কিংবা ১১ তারিখ। লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে জয়ের পর এ রাজ্যে বিজেপি কিছুটা দাপট দেখালেও, এখনো অনেক জায়গায় সাংগঠনিক স্তরে দুর্বলতা রয়েছে। সম্প্রতি ৩ বিধানসভার উপনির্বাচনে একটিও আসন দখল করতে না পারার নেপথ্যে সেই দুর্বলতার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। সামনে আবার পৌরভোট এবং বছর কাটলেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। কাজেই এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি জনসভা করলে দলের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন বলে আশা রাজ্য নেতৃত্বের। নতুন উদ্যমে সবাই কাজে নেমে পড়বেন। পাশাপাশি, যেখানে যা অন্তর্দ্ব›দ্ব আছে, মোদির ভাষণ তাও দূর করতে পারবে বলে আশা তাদের।
