শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিএএ বিরোধিতা রাষ্ট্রদ্রোহ : মোদি

সিএএ বিরোধিতা রাষ্ট্রদ্রোহ : মোদি

কর্ণাটকের শ্রী সিদ্ধগঙ্গা মঠ-এ দাঁড়িয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথেনামা দল, সংগঠন এবং পাকিস্তানকে এক মেরুতে এনে ফেললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসসহ বিরোধী শিবিরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্দোলন করতে হলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে করুন। মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার সরকারের কাজ নিয়ে সব ধরনের বিরোধিতাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে ভারতে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গোড়ায় একে শুধু ‘মুসলিমদের বিক্ষোভ’ হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু ‘সাফল্য’ মেলেনি। এ অবস্থায় গতকাল মোদি দুটি কৌশল নিয়েছেন। এক, সিএএ-এর বিরোধিতাকে ‘সংসদের বিরোধিতা’ বললেন। মোদি আরও বলেন, কংগ্রেস, তাদের সহযোগীরা এবং তাদের তৈরি ইকোসিস্টেম ভারতের সংসদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, এই আন্দোলন সংসদ নয়, মোদির বিভাজনকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় কৌশলে মোদি সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পাকিস্তানকে টেনে বলেছেন, সে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিরোধীরা মুখ খুলছেন না কেন? মোদির এই কৌশলকে বিজেপি-সঙ্ঘের মেরুকরণের চেষ্টা বলেই দেখছে বিরোধীরা।  তবে মোদি বলেন, আন্দোলন করতে হলে গত ৭০ বছরে পাকিস্তানের কুকীর্তির বিরুদ্ধে করুন। স্লোগান দিতে হলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে দিন। মিছিল করতে হলে পাকিস্তানের দলিত-পীড়িত-শোষিতদের সমর্থনে মিছিল করুন। বিরোধীরা বলছেন, মোদি সব সময়ই পাকিস্তানের জুজু দেখান। ভোটের সময়ও, বিক্ষোভেও। তাদের কটাক্ষ, মোদি শাসনে কৃষি, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগছে ভারত। আর তিনি দেশবাসীকে বলছেন, সেসব নিয়ে কথা না বলে পাকিস্তানের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করতে!

তবে কংগ্রেস মোদির এই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বরং বলেছে, বছর পাল্টালেও মোদির চালাকি পাল্টায়নি। তিনি কাউকেই আওয়াজ তুলতে দেবেন না। অন্নের জোগানদাতা চাষি হোক বা তরুণ প্রজন্ম বা নারী। মোদি যখন পাকিস্তান সম্পর্কে কংগ্রেসের নরম সুর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তখন আচমকা পাকিস্তানে গিয়ে নওয়াজ শরিফের পারিবারিক অনুষ্ঠানে মোদির হাজির হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

সর্বশেষ খবর