বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে রয়েছে মার্কিন ঘাঁটি

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে রয়েছে মার্কিন ঘাঁটি

কথায় আছে আমেরিকান সৈন্য যেখানে যায় সেখান থেকে আর বের হন না। নানা অছিলায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের নামে বিভিন্ন দেশে সৈন্য পাঠায় আমেরিকা। এরপর দশকের পর দশক কেটে যায় কিন্তু সৈন্যরা আর নিজ দেশে ফেরেন না। 

ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি। আছে হাজারো সৈন্য। ইরানের হুমকির পর এই ঘাঁটিগুলোতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারির পাশাপাশি বাড়তি সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। যেসব দেশে মার্কিন সেনারা আছে তা দেখা যাক।

ইরাক : ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কত সৈন্য রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায় না। তবে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য রয়েছে। যার সংখ্যা আনুমানিক ছয় হাজার হতে পারে।

কুয়েত : মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি। দেশটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে।

সিরিয়া : অক্টোবরে সেখান থেকে সেন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২০০০ সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে। যেসব ঘাঁটি চালু আছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমান্তে। এর কাছেই রয়েছে ইরানীয় আর তাদের সমর্থিত বাহিনী।

জডার্ন : ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, আর সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে জর্ডানের। দেশটিতে বিমান ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার।

সৌদি আরব : সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনা সদস্য রয়েছে। অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে আরও সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।

বাহরাইন : বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ-ঘাঁটি রয়েছে। বর্তমানে সেখানে সাত হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে।

ওমান : ওমানের অবস্থান হরমুজ প্রণালীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ। বর্তমানে সেখানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত : হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে পাঁচ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন।

কাতার : মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি কাতারের আল উদিদে। এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার। বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযুক্ত রয়েছে।

তুরস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কেও। দেশটির ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটিসহ বেশকিছু জায়গায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।

সর্বশেষ খবর