বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিএএ’র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা সরকার

সিএএ’র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেরালা সরকার

শেষ পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে গেল ভারতের একটি রাজ্য সরকার। আর সেটি হলো কেরালা। সিএএ-এর বিরুদ্ধে এই প্রথম মামলা করল এই রাজ্য সরকার। কেরালার করা এই মামলায় দাবি করা হয়, এই সংশোধনী আইন সংবিধানবিরোধী। গতকাল শীর্ষ আদালতের সংবিধান বেঞ্চে এ বিষয়ে আবেদন জানায় কেরালা সরকার। তাদের দাবি, মোদি সরকার নাগরিকত্ব আইনের যে সংশোধন করেছে তা বিভেদমূলক। সংবিধানবিরোধী। সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২১ নম্বর ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এই তিনটি ধারায় মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রায় ৬০টি মামলা রুজু হয়েছে। তবে এই প্রথম কোনো রাজ্য সরকার তাতে অংশ নিল। উল্লেখ্য, এর আগে কেরালার বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। শাসক বাম জোট এবং বিরোধী কংগ্রেস জোট একযোগে সেই প্রস্তাব সমর্থন করেছিল। তারপরই সর্বসম্মতিতে বিষয়টিকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে এলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

কেরালা সরকারের দাবি, সিএএ মূলত একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই টার্গেট করছে। কেরালা সরকারের আবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই আইন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা চিন্তা করছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় যে তামিল হিন্দুরা রয়েছেন, কিংবা নেপালে যে মাধেশি জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের কথা ভাবা হচ্ছে না।’ এককথায় এ আইন নাগরিকদের সমানাধিকার খর্ব করছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমাদের রাজ্যে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। এই রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার নিদর্শন রয়েছে। শুরু থেকেই এখানে গ্রিক, রোমান, আরবি, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বাস করছেন। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে কখনই নষ্ট হতে দেব না।’

বিজয়নের অভিযোগ, নাগরিকত্ব আইন এনে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি     হয়েছে। লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পরই  কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, এই আইন অসাংবিধানিক।

সর্বশেষ খবর