বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

একনজরে ইরানের যত শত্রু-মিত্র

মধ্যপ্রাচ্যে এখন দুটি বলয়। একদিকে সৌদি আরব, অন্যদিকে ইরান। দুই দেশই প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত। তবে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রভাব পড়ে বাকি দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগেও। আসুন জেনে নিই ইরানের আজকের শত্রু-মিত্র কারা, বর্তমানে কার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক দেশটির।

যুক্তরাষ্ট্র : বন্ধু থেকে শত্রু : ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় মোসাদ্দেক সরকার উৎখাত হওয়ার পর ইরানের ক্ষমতায় আসেন রেজা শাহ পাহলভি। পরবর্তী ২৬ বছর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ছিল একে অন্যের বন্ধু। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবে শাহ ক্ষমতাচ্যুত হলে এ সম্পর্ক শত্রুতায় রূপ নেয়। ১৯৮০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। একে অন্যকে তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবেও আখ্যায়িত করেছে।

ইসরায়েল : আন্তরিকতা থেকে অবিশ্বাস : তুরস্কের পর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় মুসলিম দেশ ইরান (১৯৫০ সাল)। রেজা শাহের শাসনকালে দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। এখন দুই দেশের সম্পর্ক সাপে-নেউলে।

সৌদি আরব : চরম শত্রু : মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা বিস্তারের লড়াইয়ে ইরানের     চিরশত্রু সৌদি আরব। ’৭৯ সালে তেহরানের ক্ষমতায় পরিবর্তন আসার পর থেকেই তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুই দেশ কখনো সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও চলছে তাদের ছায়াযুদ্ধ। 

রাশিয়া : দখলদার থেকে মিত্র : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইরানে আস্তানা গাড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও কয়েক বছর দখলদারি বজায় রাখে তারা। শাহের শাসনামলেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকি ইরাক-ইরান যুদ্ধে সাদ্দামকে সহায়তা দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবে ১৯৯১ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে ইরান হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার।

ইরাক : সম্পর্কে নতুন মোড় : সাদ্দাম হোসেনের চালানো হামলা থেকে শুরু হওয়া ইরাক-ইরান যুদ্ধ অব্যাহত ছিল আট বছর। তবে বর্তমানে বাগদাদের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তেহরানের।

সর্বশেষ খবর