স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরচব্বিশ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হাড়োয়া থানার মোহনপুর। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা। খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে স্কুলের মধ্যে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ বাহিনী গিয়ে প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টায় শুক্রবার দিবাগত মাঝরাতে তাকে উদ্ধার করে। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট অবরোধ করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জাহাঙ্গীর হোসেন নামের ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (এএসআই) এই মুহূর্তে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, মোহনপুরের বাছড়া এম.সি.এইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছাত্র ও যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ওই উৎসবের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ওই স্কুলেই ডিউটি পড়ে হাড়োয়া থানার এএসআই জাহাঙ্গীরের। শুক্রবার সকাল থেকেই তার সঙ্গে ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে বেশ কয়েকবার কথা বলতে দেখা যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। কারণ হিসেবে তারা জানান, ওই দুই ছাত্রীর ইচ্ছা সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ার। সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে তারা কথা বলেছিল ওই এএসআইয়ের সঙ্গে। অভিযোগ অনুযায়ী, সন্ধ্যার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হতেই জাহাঙ্গীর ওই দুই ছাত্রীর একজনকে স্কুলেরই দোতলার একটি ঘওে ডেকে নিয়ে যান। তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
প্রত্যদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হঠাৎ করেই উপরের ক্লাসরুম থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে স্কুল চত্বরে যারা ছিলেন তারা ছুটে যান। ঘরের দরজা খুলে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। জাহাঙ্গীরকে ধরা হয়।