শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আগামী সপ্তাহে ইইউর সঙ্গে বিচ্ছেদে যুক্তরাজ্যের!

ইইউ পার্লামেন্টের সম্মতির পর ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হবে

সব বাধাই উত্তরণ করতে পারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার ব্রিটেনের উচ্চকক্ষ বিনা আপত্তিতে ব্রেক্সিট বা বিচ্ছেদ আইন অনুমোদন করেছে। ফলে চলতি মাসের শেষে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথ প্রায় পুরোটাই সুগম হলো। এখন রানী স্বাক্ষর করবেন এবং ইইউ পার্লামেন্টের সম্মতির পর ৩১ জানুয়ারি ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করবে। গতকালই এই বিলে স্বাক্ষর করার কথা রানী এলিজাবেথের।

গত পরশু ব্রিটিশ উচ্চকক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জনসন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, ‘কোনো কোনো সময় মনে হচ্ছিল যে, আমরা হয়তো কখনো ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছতে পারব না। তবে আমরা সেই অসাধ্য সাধন করেছি।’ চলতি সপ্তাহের শুরুতেই হাউস অব লর্ডস বা উচ্চকক্ষ ব্রেক্সিট আইনের খসড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তারপর সংশোধনীসহ সেটি হাউস অব কমন্সে ফেরত পাঠায়। কিন্তু বুধবার নিম্নকক্ষ সেই সংশোধনী বাতিল করে খসড়াটি অপিরবর্তিত রেখে আবার উচ্চকক্ষে পেশ করে। দ্বিতীয়বার আর আপত্তি না করে উচ্চকক্ষ সেটি মেনে নেয়। ফলে ব্রেক্সিটের পর শিশু শরণার্থীদের সুরক্ষা ও ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে উচ্চকক্ষের উদ্যোগ ব্যর্থ হলো। ব্রিটেনে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় এবার ইইউকে শেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী ২৯ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট আইন অনুমোদন করলে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না। ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটের পর প্রায় তিন বছর ধরে ব্রিটিশ রাজনীতির অচলাবস্থার কারণে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া একের পর এক বাধার মুখে পড়ছিল। তেরেসা মে হাল ছেড়ে বিদায় নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন আগাম নির্বাচন ডেকে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। গত ডিসেম্বরে  জয়ের পরই জনসন পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। বুধবার সেই উদ্যোগের প্রায় সফল সমাধান হলো।

সর্বশেষ খবর