শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
অস্বস্তিতে ভারত

সিএএ-বিরোধী বিতর্ক ইইউ পার্লামেন্টে

ভারতের নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ইউরোপ। এ জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হচ্ছে। তবে ইইউয়ের এ সিদ্ধান্তে কঠোর সমালোচনা করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের দাবি, বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ। ইতিমধ্যেই বিশ্বের কাছে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করা শুরু করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য শাফাক মহম্মদ জন্মসূত্রে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের। তিনিই এ প্রস্তাবের অন্যতম কারিগর। গোটা বিষয়টির পিছনে ইসলামাবাদের কোনো পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। ইইউ এ আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ এবং ‘বিভেদকামী’ হিসেবে চিহ্নিত করে একে বাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। ভারতে ‘ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ’ প্রকৃতপক্ষে ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। জানা গেছে, মোট দশটি ভাগে ভাগ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের পর্যবেক্ষণ এবং মতামত জানিয়েছেন প্রস্তাবে। পার্লামেন্টের ছয়টি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আনা এ প্রস্তাবটিতে বলা হচ্ছে, ‘ভারত সরকারকে এ মর্মে সতর্ক করা হচ্ছে যে সেখানকার ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে। এ নয়া নাগরিকত্ব আইন ভারতের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতাও লঙ্ঘন করছে। এটি শুধুমাত্র বৈষম্যমূলকই নয়, বিপজ্জনকভাবে বিভেদকামীও বটে। সরকারের উচিত অবিলম্বে দেশের নাগরিকদের আবেদনে সাড়া দেওয়া, সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কথা বলা।’ শুধু নয়া নাগরিকত্ব আইনই নয়, এনআরসি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। বলা হয়েছে, ‘এনআরসি নিয়ে যে প্রাসঙ্গিক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, ভারত সরকার তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করুক। ভারতে যেভাবে নাগরিকত্ব নির্ণয় করা হয়, এনআরসির ফলে তাতে বিপজ্জনক পরিবর্তন আসতে চলেছে।

সর্বশেষ খবর