শিরোনাম
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বুধবারই হয়তো ‘মুক্ত’ ট্রাম্প

বুধবারই হয়তো ‘মুক্ত’ ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে পিছু নিয়েছে নানা রকমের ঝক্কি ঝামেলা। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত নিয়ে দীর্ঘ তদন্তে পড়েন তিনি। তিন বছর পর সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সবচাইতে বড় পরীক্ষা; ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে ভাগ্য ভালো মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আপাতত রক্ষে পাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই ‘মুক্তি’ আগামী পরশু দিন বুধবারেই। এখনো পর্যন্ত পাওয়া সিনেটের ইমপিচ-ছবি বলছে, আগামী দু’দিনের মধ্যেই হয়তো নিজেকে ‘বেকসুর’ ঘোষণা করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে যে ট্রাম্পকে কোণঠাসা করা সম্ভব নয়, ভালোই জানতেন ডেমোক্র্যাটরা। তবু শেষ চেষ্টা করেন ন্যান্সি পেলোসিরা। দেশের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন সাক্ষীর কাঠগড়ায়। গত পরশু যা সরাসরি নাকচ করেন রিপাবলিকানরা। বুধবার ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে সিনেটে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হওয়ার কথা। ভোট দেবেন সিনেটের ১০০ জন সদস্যই। কিন্তু সেখানে ট্রাম্পের অনুসারীই যে সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটের সদস্য ৪৭। বাকি ৫৩ জনই ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের সদস্য। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৭টি ভোট। যা তাদের পক্ষে জোটানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ। ডেমোক্র্যাটরা তবুও মনে করছেন, বোল্টনকে কাঠগড়ায় তুলতে পারলেই বাজিমাত করা যেত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু নিয়ে ইউক্রেনের ওপর চাপ দেন তিনি। অন্যথায় নাকি সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকিও দেওয়া হয়। এক মার্কিন পত্রিকার দাবি, বোল্টন তার প্রকাশিতব্য বইয়ে এই তথ্য শুধু স্বীকারই করেননি, জানান যে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই এই আলোচনায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল তাকে।

সর্বশেষ খবর