শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কাশ্মীরের দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর ও মেহবুবা আরও ২ বছর জেলে

কলকাতা প্রতিনিধি

কাশ্মীরের দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর ও মেহবুবা আরও ২ বছর জেলে

জম্মু ও কাশ্মীরের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ এবং পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নেত্রী মেহেবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইনে (পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট) মামলা দায়ের করল ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার তাদের ছয় মাসের গৃহবন্দী থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এদিন গভীর রাতে ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহেবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ফলে এখনই তারা মুক্তি পাচ্ছেন না। এ আইনের আওতায় তাদের আরও দুই বছর বন্দী থাকতে হবে। বর্তমানে রাজ্যটির গুপকার রোডে হরি নিবাস প্যালেসে বন্দী রয়েছেন আবদুল্লাহ, অন্যদিকে লাল চকের একটি গেস্ট হাউসে বন্দী রয়েছেন মেহেবুবা মুফতি। বৃহস্পতিবার সেখানেই একজন ম্যাজিস্ট্রেট জনসংখ্যা আইনে ওয়ারেন্ট দিয়ে আসেন। ওই একই আইন জারি করা হয়েছে রাজ্যটির আরও দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা আলী মহম্মদ সাগর এবং পিডিপি নেতা সারতাজ মাদানীর ওপরও। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি, সাংসদ তথা জম্মু-কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়। জন সুরক্ষা আইন (পিএসএ) হলো ১৯৭৮ সালের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য সরকারের একটি আইন। এই আইনে অভিযুক্তকে দুই বছর পর্যন্ত বিনা বিচারে আটক রাখা যায়।  এদিকে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের এই আইনে দায়ের করার পরেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে তোপ দেগেছে অবিজেপি দলগুলো।

এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের সিপিআইএম নেতা এম ওয়াই তারিগামি জানান, ‘একদিকে সংসদের ভিতর ও বাইরে বিজেপি দাবি করছে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, অন্যদিকে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন জারি করছে। ছয় মাস পর রাজ্যের নেতাদের ওপর জন সুরক্ষা আইন চালু করার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? কেন্দ্র দাবি করছে যে উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও উন্নতির দিকে এবং আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’ একাধিক টুইট করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম লিখেছেন, ‘এই খবর শুনে আমি স্থম্ভিত এবং বিধ্বস্ত।’ তার অভিমত ‘বিনা অপরাধে কাউকে আটকে রাখা গণতন্ত্রের জন্য ঘৃণ্য কাজ।

 

সর্বশেষ খবর