শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

একুশ শতকের ভয়াবহ যত মহামারী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১ হাজার ৩০৭টি মহামারী ঘটেছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক মহামারীগুলো সম্পর্কে যা বলা হয়েছে-

প্লেগ : একুশ শতকেও ফিরে এসেছে প্লেগ রোগ। ২০১৭ সালে আফ্রিকার মাদাগাস্কারে প্লেগে আক্রান্ত হন ২ হাজার ৪১৭ জন। প্রাণ হারান ২০৯ জন। শুধু তাই নয়, মাদাগাস্কারে যাওয়া বা সেখান থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও জারি হয় বিশেষ সতর্কতা।

জিকা ভাইরাস : ২০১৫ সালে ব্রাজিলে এডিস প্রজাতির মশা থেকে ছড়ায় এই বিশেষ ধরনের ভাইরাস। সদ্যোজাত শিশুদের মস্তিষ্কে ব্যাপক ক্ষতি করে এ সংক্রমণ। ব্রাজিল ছাড়া আরও ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ মহামারী।

ইবোলা : ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে নতুন করে ছড়ায় ইবোলা ভাইরাস। এর আগে ১৯৭৬ সালে এ সংক্রমণ লক্ষ্য করা হলেও সেবার তা একটি অঞ্চলের মধ্যেই সীমিত ছিল। কিন্তু একুশ শতকে এ সংক্রমণ আটকানো যায়নি। এ তিনটি দেশ ছাড়াও তিনটি মহাদেশের আরও ছয়টি দেশে পৌঁছে যায় ইবোলা।

মেনিনজাইটিস : ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মেনিনজাইটিস রোগে মারা যান ১৩৭ জন। এর কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অপর্যাপ্ত টিকার কথা।

চিকুনগুনিয়া : যে এডিস প্রজাতির মশা থেকে ডেঙ্গু ছড়ায়, সেই একই মশার কামড়ে হতে পারে চিকুনগুনিয়া। মূলত শহরাঞ্চলে দেখা যাওয়া এ সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ১৯৫২ সালে। কিন্তু ২০০৭ সালে নতুন করে গ্যাবনে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর পর সারা বিশ্বে ধরা পড়ে। শুধু ২০১৬ সালেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ।

মের্স : ২০১৩ সালের জুলাইয়ে আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা মের্স।

কলেরা, ইয়েলো ফিভার : কলেরা বা ইয়েলো ফিভারের মতো পুরনো রোগ ঘুরেফিরে আসছে কারণ আক্রান্ত দেশগুলোয় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০৯ সালে একুশ শতকের প্রথম ইনফ্লুয়েনজা ভাইরাস (এইচ১এন১) মহামারী ধরা পড়ে।

সার্স : করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারী ছিল সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স। ২০০৩ সালে চীনে এ ভাইরাস দেখা যায়। প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা ল্যাব থেকে ছড়িয়েছিল এটি। ২৬টি দেশে ছড়ানো সংক্রমণে আক্রান্ত হন প্রায় ৮ হাজার জন।

সর্বশেষ খবর