বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্রেক্সিট-পরবর্তী রূপরেখা জানালেন জনসন

ব্রেক্সিট-পরবর্তী রূপরেখা জানালেন জনসন

ভবিষ্যতে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যের রূপরেখা তুলে ধরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। ইইউর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের বদলে তিনি নিজস্ব বিধিনিয়মের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ব্রিটেন ও ইইউয়ের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এই অন্তর্র্বর্তীকালেই ভবিষ্যৎ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে ঐকমত্য অর্জনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আগামী মাস থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার নিজের মতো করে এগোতে চাচ্ছে। সোমবার ব্রাসেলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপ সংক্রান্ত উপদেষ্টা ডেভিড ফ্রস্ট বলেন, ব্রিটেনকে ভবিষ্যতে ইইউ বিধিনিয়ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তার মতে, এ বিষয়ে ঐকমত্য সম্ভব না হলে অস্ট্রেলিয়ার আদলে ব্রিটেনও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাঠামোর আওতায় ইইউর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে পারবে। ফ্রস্ট বলেন, ব্রিটেন ইইউর সঙ্গে এক সহজ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়। ইইউ শুরু থেকেই ব্রিটেনের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন সম্প্রতি লন্ডনে এমন বোঝাপড়ার কাঠামো তুলে ধরেছেন। তার কথা, যে কোনো পরিস্থিতিতেই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কোনোরকম বৈষম্য থাকলে চলবে না। বিশেষ করে পরিবেশ ও শ্রমের ক্ষেত্রে ইইউর বিধিনিয়ম মেনে চললেই ইইউর বাজারের নাগাল পাওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত ব্রিটেনের বাণিজ্যের সিংহভাগই ইইউ  দেশগুলোর সঙ্গে চলে আসছে। ভবিষ্যতে শুল্ক, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বাধা সৃষ্টি হলে ব্রিটেনের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ পূর্বাভাষ দিচ্ছেন।

বরিস জনসন এমন শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নন। তার মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার মূল কারণই ছিল নিজস্ব শর্তে বাকি বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো। আগের মতো ইইউর বিধিনিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকলে ব্রিটেনের সেই স্বাধীনতা খর্ব হবে। তাই ব্রিটেন নিজস্ব নিয়মের ভিত্তিতেই সব দেশ ও জোটের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। এমন প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত অনিবার্য বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে যে মনোমালিন্য দেখা গিয়েছিল, বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে সেই পরিবেশ আরও বিষাক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর