শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সিরিয়ায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ইইউর

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবে সব পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এলাকাটিতে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ইইউ বলছে, নতুন করে সেখানে যুদ্ধাবস্থা ‘অগ্রহণযোগ্য’। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শান্ত থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওই আহ্বান জানায় ইইউ। ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ‘সোচি স্মারকলিপি’ নামে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বৃহস্পতিবার ওই চুক্তির অধীন প্রতিশ্রুতিগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানের আহ্বান জানায় ইউরোপীয় সংস্থাটি।

ইইউর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জেনেভা প্রজ্ঞাপন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২২৫৪ রেজুলেশন অনুযায়ী সিরিয়ার বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে ইইউ।’ সেই সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি বিদ্রোহীদের সর্বশেষ অবস্থান ইদলিবের দখল নিতে সম্প্রতি রাশিয়ার সহায়তায় অভিযান জোরালো করেছে সিরীয় বাহিনী। এরপর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ইদলিবে তুর্কি সামরিক অবস্থানের আশপাশ থেকে সিরীয় সেনাদের প্রত্যাহার না করা হলে ফেব্রুয়ারির শেষে সেখানে অভিযান চালাবে আঙ্কারা। এরদোগানের এই হুমকির এক দিনের মাথায় সেখানে তীব্র লড়াইয়ের কথা জানা গেছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরীয় বাহিনীর হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত ও অপর পাঁচ জন আহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় ৫০ জনেরও বেশি সিরীয় সেনাকে হত্যার দাবি করেছে তারা। তবে সিরীয় যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের মিত্র রাশিয়ার অভিযোগ বৃহস্পতিবার সিরীয় বিদ্রোহীদের আর্টিলারি (কামান) সহায়তা দিয়েছে তুরস্ক। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরীয় বিদ্রোহীরা ইদলিবের সরকারি অবস্থানে ঢুকে পড়লে তুর্কি সমর্থিত যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। পাশাপাশি সিরীয় সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা চালায় বলেও দাবি তাদের। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। আনাদোলু এজেন্সি

সর্বশেষ খবর