শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

দিল্লির ঘটনায় উদ্বেগ

অমিতের সঙ্গে মমতা-নীতিশ নবীন বৈঠক

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতের দিল্লিতে সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দেশটির আরও কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছেন।

গতকাল উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের সচিবালয় ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবনে পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক পরিষদের (ইজেডসি)-এর বার্ষিক বৈঠকে অমিত শাহ ও মমতা ব্যনার্জি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, ঝাড়খন্ডের অর্থমন্ত্রী রামেশ্বর ওঁরাও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

এই বৈঠকে চার রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে কথা বলেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা জলাধার ও আন্তঃরাজ্য  নদীর পানি বণ্টন, কয়লার রয়্যালটি বণ্টন, টেলিযোগাযোগ, রাজ্যগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত সমন্বয়, বনজসম্পদ অধিকার আইনের প্রয়োগ, বিভিন্ন রাজ্যে থাকা বকেয়া রেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিসহ একাধিক    বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

তবে ওই বৈঠকে এজেন্ডা হিসেবে না থাকলেও দিল্লির সহিংসতার আবহে যেহেতু এই বৈঠক তাই না চাইলেও পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকের শুরুতেই উঠে আসে দিল্লির সহিংসতার বিষয়টি। বিষয়টি উত্থাপন করেন মমতাই। পরে বৈঠক শেষে ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা নিজেই বলেন ‘আমি প্রথমেই একবার বলেছি যে আমাকে ক্ষমা করবেন কারণ দিল্লিতে যা ঘটেছে তার জন্য আমি মর্মাহত। দিল্লিতে এখনই শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।’

মমতা আরও বলেন ‘আমরা খুবই ডিস্টার্ব, আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে এতগুলো মানুষ নিহত হয়েছে। দিল্লিতে যে সহিংসতা হচ্ছে সেই পরিবারগুলো আজ অসহায়। এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত, সাহায্য করা উচিত এবং শান্তি রক্ষা করা উচিত। কারণ দেশের যে কোনো প্রান্তে একটা গ-গোল  হলে সেই গ-গোলের আঁচ চারদিকে পড়ে। এটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়।’

তবে বৈঠকে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি বলে জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর